একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো একমাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) গাজীপুর সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইবুনালের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ছয়দানা এলাকার মো. আব্দুল গফুরের ছেলে মো. মাসুদ (৩০), ডেগের চালা আব্দুল মালেকের ছেলে মো. আলম হোসেন (৩০), মো. শাহ আলম (২৬) এবং জাঝড় এলাকার মো. শওকত হোসেনের ছেলে মো. নাহিদ হাসান (২৮)।
আদাল সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের ডেগেরচালা এলাকায় এসিএল বেভারেজ অ্যান্ড ফুড লিমিটেড নাম দিয়ে একটি কারখানা ছিল।
ওই কারখানায় ভেজাল সরিষার তেল, লায়ন ম্যাংগো জুস, ও এনার্জি ড্রিংকসসহ বিভিন্ন ভেজাল খাদ্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করে আসছিলেন আসামিরা।
খবর পেয়ে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল অভিযান চালিয়ে কারখানার সামনে থেকে ওই ৪ জনকে আটক করে। ওই সময় কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল পণ্য ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়।
এ সময় আটকরা ভেজাল জুস, ড্রিংকস ও তেল উৎপাদনের কথা স্বীকার করেন। তবে এ সংক্রান্ত বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হন তারা।
পরে এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা করে। আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর দীর্ঘ শুনানির পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারক এ রায় দেন।
তবে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ওমর ফারুককে খালাস দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর আদালত পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন গাজীপুর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. হারিছ উদ্দিন আহম্মদ। আর আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনীম খান ও অ্যাডভোকেট আলেয়া আক্তার।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আলম হোসেন ছাড়া অন্যজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
আরএস/এমএ