ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১৩৪ স্থানীয় নির্বাচনের প্রচারণা বন্ধ মধ্যরাতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
১৩৪ স্থানীয় নির্বাচনের প্রচারণা বন্ধ মধ্যরাতে

ঢাকা: স্থানীয় সরকারের বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) অনুষ্ঠেয় ১৩৪টি নির্বাচনের প্রচারণা মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) মধ্যরাতে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে নির্বাচনের সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ করতে হয়। যেহেতু ভোটগ্রহণ শুরু হবে ২৯ মার্চ সকাল ৮টায়, তাই ৩২ ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ মঙ্গলবার মধ্যরাত ১২টায় শেষ হচ্ছে প্রচারকাজের সময়।


 
প্রার্থীসহ সবার উদ্দেশ্যে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২৭ মার্চ মধ্যরাত ১২টা থেকে ভোটগ্রহণের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ, ৩১ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান করতে পারবেন না। একইসঙ্গে এ সময়ের মধ্যে কোনো ব্যক্তি মিছিল বা শোভাযাত্রা সংগঠিত করতে বা তাতে যোগ দিতেও পারবেন না।
 
আগামী ২৯ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ৪৭টি, বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন/স্থগিত নির্বাচন ৭২টি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন ০২টি, পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন ৪টি ও বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন/স্থগিত নির্বাচন ৭টি এবং খুলনা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডের ১টি করে নির্বাচনসহ সর্বমোট ১৩৪টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
 
ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নির্বাচনী এলাকায় ২৮ মার্চ মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৯ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যেসব যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো-বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ,প্রাইভেটকার, বাস, ট্রাক ও টেম্পো।
 
এদিকে পৌরসভা নির্বাচনে ২৬ মার্চ মধ্যরাত ১২টা থেকে ৩০ মার্চ সকাল ৬টা পর্যন্ত এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২৬ মার্চ থেকে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ, ২৯ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
 
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, নির্বাচন কমিশনের বৈধ পরিচয়পত্রধারী, দেশি-বিদেশি সাংবাদিক, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি কাজে নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহৃত যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
 
এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহে এবং অন্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।