মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চৌগাছা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তবে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাহারের দাবিতে চৌগাছা বাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে ব্যবসায়ীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দুপুরে পৌর শহরের স্বর্ণপট্টিতে সেনকো জুয়েলার্সের মালিক রবিন সেনের ছেলে রাজন সেন ওরফে বাপ্পির (২৫) কাছে ইয়াবা ট্যাবলেট আছে বলে দোকান থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক আকবর (এএসআই) এবং কনস্টেবল নাজমুল। সেসময় চৌগাছা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবাদত হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান এ্যাডমিরালের উপস্থিতিতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এসআই কামরুজ্জামান নিজের পিস্তল বের করেন। এসময় উত্তেজিত ব্যবসায়ীরা দোকানের গেট বন্ধ করে এসআই কামরুজ্জামানকে আটক করেন। অন্য দু’জন দোকান থেকে বের হয়ে পালিয়ে যান। ঘটনা শুনে ব্যবসায়ীরা ওই দোকান ঘিরে বিক্ষোভ করতে থাকেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে চৌগাছা পৌর মেয়র নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেলের সহায়তায় এসআই কামরুজ্জামানকে উদ্ধার করা হয়।
চৌগাছা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে বাজারে মাইকিং করে চৌগাছা থানার ওসিসহ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত বাজারের সব দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।
চৌগাছা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সস্পাদক ইবাদত হোসেন বলেন, চৌগাছা থানার ওসিসহ ঘটনায় সম্পৃক্তদের প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত চৌগাছা বাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
যশোর-ক সার্কেলের এএসপি শেখ নাঈমুর রহমান বলেন, আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। চৌগাছার স্বর্ণপট্টির ঘটনা শুনেছি।
যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, অন্য একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে কনস্টেবল নাজমুলকে ক্লোজড করা হয়েছে। স্বর্ণপট্টির ঘটনায় এসআই কামরুজ্জামানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে ২০১৬ সালে চৌগাছা বাজারের আরেকজন ব্যবসায়ীকে দোকানের মধ্যে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ায় এসআই সিরাজসহ দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। ২০১৭ সালেও উপজেলার খড়িঞ্চা বাজারে ফেনসিডিল দিয়ে এক ব্যক্তিকে ফাঁসানোর ঘটনায় স্থানীয়দের দাবিতে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
ইউজি/আরআর