মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দুপুরে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, সাহসীকতার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি.এম সরফরাজ ওই স্কুল ছাত্রীসহ চার শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা যায়, স্থানীয় হাতেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ও শহরের দক্ষিণ বন্দর এলাকার সৌদি প্রবাসী ফারুক শিকদারের মেয়ে ফারজানার সঙ্গে দক্ষিণ সাপলেজা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মুন্সির ছেলে সাপলেজা মডেল হাই স্কুলে অফিস সহায়ক ইয়াহিয়ার (২৮) বিয়ে ঠিক হয়। ওই শিক্ষার্থীর মতামত না নিয়ে মা রোকসানা বেগম, খালা ও নানী মিলে আগামী শুক্রবার এ বিয়ের দিন ধার্য করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ফারজানা তার একই ক্লাসের সুলতানা ইসলাম, রেজমি এবং ১০ম শ্রেণির দ্বিপা চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ে বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন।
লিখিত অভিযোগ পেয়ে ইউএনও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তার, সমাজসেবা কর্মকর্তা আখলাকুর রহমান ও স্টেপস্ মাঠ সমন্বয়কারী ইসরাত জাহান মমতাজের সহযোগিতায় ছাত্রীর বয়স কম হওয়ায় বর ও কনের অভিভাবকদের হাজির করে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেন।
এছাড়াও চার শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর জন্য চারটি বাইসাইকেল পুরস্কার দেওয়ার কথা বলেন।
সাপলেজা মডেল হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক এমএ রাশেদ জানান, কর্মচারী কম বয়সী একটি মেয়েকে বিয়ে করছে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ইউএনওর দপ্তরে হাজির করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম সরফরাজ বলেন, মঠবাড়িয়াতে প্রথমবারের মত স্কুলছাত্রী সহপাঠীদের সহযোগিতায় নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করে সাহসী ভূমিকা রাখায় তাদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
আরএ