ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবসে পালিত

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১০

দিনাজপুর: বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলে তেল-গ্যাস-বন্দর রা জাতীয় কমিটি ও ফুলবাড়ীবাসী আলাদা দুটি ব্যানারে বিভক্ত হয়ে ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস পালন করেছে।



দিবসটি উপলক্ষে শহরে সব রকম দোকান-পাট ও যানবাহন বেলা ১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে ওড়ানো হয় কালো পতাকা।

সকাল ৯টায় ‘উম্মুক্ত পদ্ধতির কয়লা খনি চাই না, এশিয়া এনার্জি নিপাত যাক’ শ্লোগান সম্মলিত ব্যানার নিয়ে ফুলবাড়ীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মিছিল ফুলবাড়ী শহরে এসে সমবেত হয়। তেল-গ্যাস-বন্দর রা কমিটি ও ফুলবাড়ীবাসী আলাদা দুটি ব্যানারে বিভক্ত হয়ে শহরের সব সড়ক প্রদণি করে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে।
 
বেলা ১১টায় ফুলবাড়ী নিমতলা মোড়ে ফুলবাড়ীবাসী ও পার্বতীপুর বাসস্ট্যান্ড মোড়ে তেল-গ্যাস-বন্দর রা কমিটি জনসভা করে।

পৃথক দুটি সমাবেশে বক্তরা বলেন, ফুলবাড়ীতে কয়লাখনি বাস্তবায়ন হলে কৃষক হারাবে ফসলি জমি, ব্যবসায়ী হারাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, জনগণ হয়ে পড়বে বেকার। এশিয়া এনার্জিকে বহিস্কার ও সারাদেশে উন্মুক্ত খনন পদ্ধতি নিষিদ্ধ করাসহ ফুলবাড়ীবাসীর সঙ্গে সম্পাদিত ৬ দফা চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে।
 
তেল গ্যাস বন্দর জাতীয় রা কমিটির ফুলবাড়ীর আহবায়ক সাইফুল আলম জুয়েলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, তেল-গ্যাস-বন্দর রা জাতীয় কমিটির আহবায়ক শেখ মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, তেল-গ্যাস-বন্দর রা কমিটির দিনাজপুর জেলার আহবায়ক সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন লাবু, নুরুজ্জামান প্রমুখ।
 
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের আজকের এই দিনে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কয়লা খনি প্রকল্প বাতিল এবং বিদেশি কোম্পানি এশিয়া এনার্জির দেশ ত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে পুলিশ ও বিডিআরের গুলিতে ৬ জন নিহত ও ৫০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় সংঘর্ষে আহত হয় ৩ শতাধিক মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।