ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কান্নায় কান্না আন‌ছে

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
কান্নায় কান্না আন‌ছে আহাজারি করছেন নিহতদের স্বজনরা। ডি এইচ বাদল

ঢাকা: যে গ্যালারি‌তে উল্লা‌সে মা‌তে মানুষ। সেই গ্যালা‌রিতে কান্নার রোল। হু হু ক‌রে যখনই কেউ কেঁদে উঠেন তখন আরও অনেকের কান্নার শব্দ ভে‌সে আ‌সে আশপাশের আসন থে‌কে। 

২৩ জনের মর‌দে‌হ নিতে ঢাকার আ‌র্মি স্টে‌ডিয়ামে এসেছেন শতা‌ধিক আত্মীয়-স্বজন। স্বজনদের আহাজারিতে চারপাশে শো‌কের ছায়া।

সোমবার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্লেন থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামিয়ে সেখান থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে আনা হবে ২৩ কফিন।

কান্নায় ভে‌ঙ্গে পড়া স্বজনদের পা‌শে সরকার, ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ আর অযুত বেদনাহত মানুষ। তবু তাদের প্রিয়জন হারা‌নোর ক্ষত শুকা‌বে না কোনোদিন। প্রাণহীন মানুষগু‌লোও আর ফির‌বে না। এতেগুলো তাজা প্রাণ ‌হিমালয় দেখ‌তে নেপাল গি‌য়ে ফিরলো ক‌ফি‌নে ব‌ন্দি হয়ে।  

তারা নেপা‌লের ত্রিভুব‌নে শেষ নিঃশ্বা‌স ত্যাগ করেছে এক সপ্তাহ আ‌গে। সেই সঙ্গে সমা‌ধি হ‌য়ে‌ছে অ‌নেক স্ব‌প্নের। শো‌কে ভা‌সি‌য়ে গে‌ছে আত্মীয়-স্বজনসহ পুরো দেশ‌কে।  

এখনে চলছে মরদেহ গ্রহণ পর্ব। প্র‌ত্যেক ক‌ফি‌নে নিহত ব্যক্তির নাম ও পাস‌পোর্ট নম্বর দেওয়া আ‌ছে। নিয়মানুযায়ী প‌রিবা‌রের ‌নিকটজ‌নের কা‌ছে মরদেহ হস্তান্তর করা হ‌বে।   

আরও পড়ুন>>
** 
প্রাণোচ্ছল সেই তারা ফিরলেন কফিনবন্দি হয়ে

এ‌ক্ষে‌ত্রে নিয়ম হ‌চ্ছে, স্বামীর মরদেহ স্ত্রী, স্ত্রীর মরদেহ স্বামী গ্রহণ কর‌বেন। আর স্বামী-স্ত্রী দু’জনই মারা গে‌লে তাদের মরদেহ গ্রহণ করবেন নিকটাত্মীয়। দ্রুত মরদেহ হস্তান্তরের কাজ এ‌গি‌য়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হ‌চ্ছে।  

‌বি‌কেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত এখা‌নে অ‌পেক্ষা কর‌ছেন সবাই। তখনও মরদেহগুলো আ‌সে‌নি।  

১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণকালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ালাইন্সের বিএস২১১ ফ্লাইটটি। এতে প্রাণ হারান মোট ২৬ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে শনাক্ত করে দেশে আনা হচ্ছে ২৩ জনের মরদেহ, শনাক্ত প্রক্রিয়ায় রয়ে গেছে আরও তিনজনের মরদেহ।

যাদের মরদেহ নিয়ে আনা হয়েছে, তারা হলেন- উম্মে সালমা, আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার ও শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন ও এফ এইচ প্রিয়ক, -বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামাররা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান এবং পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।

পিয়াস রায়, নজরুল ইসলাম ও আলিফুজ্জামানের মরদেহ এখনো নেপালে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮

এসএ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।