ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

নেপাল থেকে সিঙ্গাপুরে রেজওয়ানুল, এনওসি পেলেন ৫ জন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
নেপাল থেকে সিঙ্গাপুরে রেজওয়ানুল, এনওসি পেলেন ৫ জন ডা. রেজওয়ানুল হক শাওন, সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও মেহেদী হাসান

ঢাকা: কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার প্লেন দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়ে চিকিৎসাধীন ১০ বাংলাদেশির মধ্যে ডা. রেজওয়ানুল হক শাওনকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি নয়জনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে দেশে ফেরানোর অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেয়েছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে চারজনকে শিগগির বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। আর একজনকে ভারতে নিয়ে যাবে তার পরিবার।

বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) সকালে নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ৪৭৫ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন যাত্রী শাহরিন আহমেদ; ৪৭৭ নম্বর বেডে মো. শাহীন ব্যাপারী; একই হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের ৪০১ নম্বর বেডে সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা; ৪০৭ নম্বর বেডে আলমুন নাহার অ্যানি; ৪০৮ নম্বর বেডে মেহেদী হাসান; আইসিইউ’র ৫০২ নম্বর বেডে ইমরানা কবির হাসি; ৫০১ নম্বর বেডে মো. কবির হোসেইন এবং ৫০৩ নম্বর বেডে রয়েছেন শেখ রাশেদ রুবাইয়্যাত।

এছাড়া নরভিক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন ইয়াকুব আলী। আর ওম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ডা. রেজওয়ানুল হক।

রেজওয়ানুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিয়ে গেছেন তার বাবা মোজাম্মেল হক। এনওসি পেয়েছেন শাহরিন, ইয়াকুব, মেহেদী, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও অ্যানি। এদের মধ্যে ইয়াকুবকে ভারতে নিয়ে যাবেন তার ভাই দীপু ব্যাপারী। এছাড়া, হাসিকেও ভারতে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

গত ১২ মার্চ (সোমবার) কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন দেশি-বিদেশি ৫১ জন। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২২ জন।  

তাদের মধ্যে ১৪ মার্চ হাসপাতাল ছাড়েন ৩ জন। তবে এখনও ১৯ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি। রেজওয়ানুলকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত নেপালে রয়েছেন ৯ বাংলাদেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
এনএইচটি/এইচএ/

** ফ্লাইট বিএস২১১: চিকিৎসাধীন যাত্রীরা যে যেখানে আছেন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।