ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাদক নির্মূলে পুলিশ-জনপ্রতিনিধির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
মাদক নির্মূলে পুলিশ-জনপ্রতিনিধির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ মাদক নির্মূলে পুলিশ-জনপ্রতিনিধির উদ্যোগ

কক্সবাজার: কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের দরগাপাড়ার ৭০ বছর বয়সী এজাহার ফকির। তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে গাঁজা, হেরোইন ও ইয়াবা বিক্রি করে। এ কারণে অনেকবার জেল খেটেছেন তিনি। প্রতিবারই কারাগার থেকে বের হয়ে আবারও শুরু করেন মাদক বিক্রি। 

মাদক বিক্রির সঙ্গে এজাহার ফকিরের স্ত্রী, সন্তানরাও জড়িত। তারাও কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।

কিন্তু ছাড়া পেয়ে আবারও মাদক বিক্রি শুরু করেন।

এজাহার ফকিরের মতো ঈদগাঁও ইউনিয়নে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি পরিবার রয়েছে, যারা যুগযুগ ধরে মাদকে বিক্রি ও সেবন করে আসছে। এই পরিবারগুলোকে মাদক বিক্রি থেকে বের করে আনতে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ ও জনিপ্রতিনিধিরা।

মাদকের কুফল সম্পর্কে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন তারা। মাদক বিক্রি ছেড়ে অন্য কাজে জড়িত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
মাদক নির্মূলে পুলিশ-জনপ্রতিনিধির উদ্যোগ
বুধবার (১৪ মার্চ) রাত থেকে শুরু করে ব্যতিক্রমী সেই কাজ শুরু করেছে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভূঁইয়া ও চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম।  

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে এ ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা ছিলো। জনগণের ভোট নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছি জনগণের সেবা করার জন্য। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মাদকমুক্ত ইউনিয়ন গড়তে কাজ করে যাবো।

মাদক বিক্রি ছেড়ে দেওয়া পরিবারের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।

পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো ট্রলারেন্স রয়েছে। মাদক বিক্রেতা যতবড় ক্ষমতাবান হোক তাদের আইনের আওতায় আসতেই হবে। প্রাথমিকভাবে দরগাহপাড়া এলাকায় যারা জড়িত তাদের সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা পেলে বৃহত্তর ঈদগাঁওকে একটি মাদকমুক্ত এলাকা উপহার দিতে পারবো।

তিনি বলেন, আইনের ব্যবহার করে অনেকবার মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদে শুধরানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু ফল আসেনি। তাই এবার এ ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যারা মাদকের ভয়াল পথ থেকে বেরিয়ে আসবে তাদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় মাদক ছেড়ে দেওয়া পরিবারগুলোর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
টিটি/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ