যশোর: শহরে মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা পিটুনি দিয়ে এক ট্রাফিক সার্জেন্টকে নদীতে ফেলে দিয়েছেন।
প্রত্যদর্শীরা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বারান্দী এলাকায় ঢাকা-খুলনা বাইপাস সড়কে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
জবাবে ড্রাইভার সার্জেন্টকে বলেন, ‘পুলিশের তোলা’ বাবদ মাসিক টাকা দেয়া হয়। এখন নতুন করে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। ’
এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সার্জেন্ট কবির ড্রাইভারকে মারধর শুরু করেন। মার খেয়ে ুব্ধ ড্রাইভার সড়কের ওপর আড়াআড়ি ট্রাক দাঁড় করিয়ে রেখে বিষয়টি মোবাইল ফোনে মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের জানান।
খবর পেয়ে কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর-মহেশপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নূরুল ইসলাম, সেক্রেটারি রজব আলী মন্টু, কোষাধ্য মুশফিকুর রহমান ডাব্লুর নেতৃত্বে মাইক্রোবাসযোগে একদল শ্রমিক ঘটনাস্থলে এসেই সার্জেন্টের ওপর চড়াও হন। প্রথমে তারা কিল-ঘুষি দিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেন। একপর্যায়ে মোটরসাইকেলসহ তাকে নদীতে ফেলে দেন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে নিজেদের চোখের সামনে সার্জেন্টকে মারপিট করতে দেখেও পুলিশ নিরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
এদিকে, পুলিশ-শ্রমিক দ্বন্দ্বে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দু’পাশে কয়েকশ’ গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। এতে প্রায় সোয়া এক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে ব্যস্ত এ সড়কে।
যোগাযোগ করা হলে কোতোয়ালি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘সামান্য বিষয় নিয়ে ট্রাকশ্রমিকদের সঙ্গে সার্জেন্ট কবিরের বচসা হয়। পরে শ্রমিকনেতারা এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ’
তিনি জানান, সার্জেন্ট কবিরকে কোজ্ড করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১০