ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লোকজ আবহে বাহারি খাবারের মেলা ‘ফুডিয়ানা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৮
লোকজ আবহে বাহারি খাবারের মেলা ‘ফুডিয়ানা’ ফুডিয়ানা উৎসবে খাবারের স্টল/ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: স্টলগুলো গতানুগতিক ডিজাইনে না করে সাজানো হয়েছে বাঁশ, বেড়া, ছন, হোগলা, চট দিয়ে। রয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জা। একেবারে গ্রামীণ লোকজ আবহ। ছোট ছোট কুঁড়েঘরগুলোতে বাহারি খাবারে পসরা। মেলা মাঠের ঠিক মাঝখানটায় খাবার টেবিল। তাতেও রয়েছে লোকজ আবহ, বাঁশের তৈরি চেয়ার-টেবিলে বসে খাচ্ছে সবাই। এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনে ফেনীতে জমে উঠেছে ভোজন রসিকদের মেলা ‘ফুডিয়ানা’।

বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) মেলা শুরুর দিন বিকেল থেকেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (৯ মার্চ) বিকেল থেকে রাত ১০ অব্দি মেলা প্রাঙ্গণ শহরের জহির রায়হান মিলনায়তন মাঠ ছিল লোকে লোকারণ্য।

প্রতিটি স্টলেই ছিল দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতি। কেউ খাচ্ছেন, কেউ দেখছেন, কেউ মগ্ন মেলার গানের আসরে, কেউবা আবার অংশ নিচ্ছেন সেলফি কনটেস্টে। এসব নিয়ে ব্যস্ত মেলায় আগত প্রত্যেক দর্শনার্থী।  

মেলার আয়োজক আজিম খসরু জ্যাকি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ফেনীতে একটি উৎসব করা। মেলায় সরব উপস্থিতি প্রমাণ করছে আমাদের সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন হচ্ছে। ফেনীর মানুষ দারুণভাবে এতে সাড়া দিয়েছে। আমরা আশা করবো এ মেলাটি ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেক বছরই হবে। আর ফেনীর মানুষ এমন একটি উৎসবের সাথে থাকবে।  

ফুডিয়ানা উৎসবে দর্শনার্থীদের ভিড়/ছবি: বাংলানিউজতিনি জানান, ১৬টি স্টলে দু’দিনে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার খাবার বিক্রি করেছে। অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক স্টলগুলো হলো- টেস্ট অ্যান্ড বেস্ট, ফুডস আনলিমিটেড, স্টেট অব ফুডস, ক্রাউন ওয়েস্ট, কাজী ফার্মস কিচেন, ইউরো ফ্রেশ, খিদমাহ মাশরুম সেন্টার ও কুটুম বাড়ি।  

এছাড়া ঘরোয়া স্টলগুলো হলো- শরবতি ঘর, জাম্বো, বাহ, জের্ট হোম, ক্যান্ডি ক্রাশ, দাওয়াত ও এন্টারপ্রেনার কিচেন।  

মেলায় বাণিজ্যিক স্টগুলোতে ফাস্টফুড ও ঘরোয়া স্টলগুলোতে বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলিসহ নানা স্বাদ এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন ছিল।  

মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এমন আয়োজনে তারা বেশ খুশি। শহরের মধ্যে প্রতিবছর যদি খাওয়া-দাওয়ার এমন একটি আয়োজন করা যায় তাহলে এর মাধ্যমে জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো আরো ছড়িয়ে যাবে। এবং নতুন একটি উৎসব পাবে শহরবাসী।  

ফারহানা চৈতী নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় অনেক কিছুরই কম্বিনেশন আছে। যেমনিভাবে রয়েছে ফাস্টফুড, তেমনিভাবে রয়েছে আমাদের ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলি। আবার রয়েছে অন্যরকম গ্রামীণ আবহ।  

শহরের টেস্ট অ্যান্ড বেস্টের সত্ত্বাধিকারী ইমন উল হক জানান, মেলায় শহরের মানুষদের বেশ সাড়া পাওয়া গেছে। দু’দিনে আশার চেয়ে বেশি খাবার বিক্রি হয়েছে।  

মেলার আয়োজক শুভনীল পিকলু বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় খানাপিনার সঙ্গে ছিল গানের আয়োজন। তাতেও ছিল দর্শনার্থীদের দারুণ আগ্রহ।  

মেলা ১০ মার্চ, শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। উৎসবে মোট স্টল সংখ্যা ২০টি। এর মধ্যে ৪টি স্টল আয়োজক ও স্পন্সরের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ১৬টি স্টল দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে।  

‘ফুডিয়ানা’র মিডিয়া পার্টনার দেশের শীর্ষ অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। শব্দ দূষণকারী মাইক, দেয়ালে সাঁটানো পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুন এসব পরিবেশবিরোধী মাধ্যমে ‘ফুডিয়ানা’ কোনো প্রচার করবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
এসএইচডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।