ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৩৩৩১ নম্বরে কৃষিসেবা, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
৩৩৩১ নম্বরে কৃষিসেবা, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে ই-কৃষি সেবা উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: দেশব্যাপী ই-কৃষি সেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ‘কৃষি বাতায়ন’ এবং ‘কৃষক বন্ধু ফোন সেবা’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ দুটি সেবার উদ্বোধন করেন তিনি।

‘কৃষি বাতায়ন’ ব্যবহারের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীর সঙ্গে কৃষকের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, কৃষি গবেষণার সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের সংযোগ সাধন, কৃষি তথ্যভিত্তিক জ্ঞানভাণ্ডার গড়ে তোলা এবং মাঠ পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিবিধ রিপোর্ট আদান-প্রদান সহজ হবে।

এ বাতায়নের সহায়ক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘কৃষক বন্ধু ফোন সেবা’র মাধ্যমে ৩৩৩১ নম্বরে ফোন করে কৃষক নিকটস্থ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোগ স্থাপন এবং অতিসহজে প্রয়োজনীয় কৃষিসেবা পেতে সমর্থ হবেন।

প্রচলিত কল সেন্টারে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয় আর ‘কৃষক বন্ধু ফোন সেবায়’ কলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কৃষকের এলাকার নিকটস্থ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছাবে।

কৃষকের কলটি কর্মকর্তারা ধরতে ব্যর্থ হন তবে কলটি রেকর্ড হয়ে থাকবে এবং পরে ভয়েস এসএমএস-এর মাধ্যমে উত্তর দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে।

দেশের ৮ হাজার ৪শ’ পোস্ট অফিসকে ডিজিটালাইজ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সমগ্র বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস আছে। উপজেলা পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার খোলা হয়েছে। প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের গড়ে তুলতে চাই।

‘কৃষক বন্ধু ফোন সেবা’র উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মাটিতে সোনা ফলায়, ফসল ফলায় সেই কৃষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের সহযোগিতা করা আমাদের কর্তব্য।

শিক্ষিতদের কৃষি কাজে যেন অনীহা না আসে সে পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা নিয়ে কৃষি কাজে যাবে না এই মনোভাব যেন না হয়। কৃষি একটি একটি পবিত্র কাজ।

কৃষির আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকায়নের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটি ইঞ্চি মাটিকে কাজে লাগানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, এক ইঞ্চি জমিও আমরা অনাবাদি রাখবো না। সবজি হোক, ফল হোক, ফুল হোক গাছ লাগাবেন। একটা কাঁচা মরিচের গাছ হলেও লাগাবেন। কোনো জায়গা যেন খালি না থাকে। কোনো জলাশয় যেন খালি না থাকে। সেখানে যেন মাছ চাষ হয়।

অনুষ্ঠানের অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮/আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা
এমইউএম/এমজেএফ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।