ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হলে মানুষ বোঝা হয়ে যায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হলে মানুষ বোঝা হয়ে যায় স্বেচ্ছাসেবীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করছেন সৈয়দ আবুল মকসুদ। ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: লেখক, গবেষক ও জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সদস্য সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তি পঙ্গু হলে সে সমাজ ও পরিবারের জন্য বোঝা। যদি আহত ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে পাঠানো  হয়, তাহলে সে পঙ্গুত্বের হাত থেকে বেঁচে যাবে। সে কারো জন্য বোঝা হবে না। দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেওয়া গেলে শুধু যে রক্ষা পাবে তাই নয়, তারা অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়া‌রি) গাজীপুর শহরের বিআরটিসি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট হল রুমে ঢাকা ময়মন‌সিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাদানকারী ট্রমালিংক নামক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সেবা কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে সভাপত্বি করেন ট্রমালিংকয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও হার্ভার্ড-প্রশিক্ষিত জরুরি চিকিৎসা সেবায় অভিজ্ঞ ডা. জন মৌসালী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের (গাজীপুর রিজিয়ন) পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, গাজীপুরের সিভিল সার্জন সৈয়দ মনজুরুল হক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান, ট্রমালিংকয়ের অ্যাডভাইজার বিধান চন্দ্র পাল প্রমুখ।

ট্রমালিংকের গ্রুপ ব্যবস্থাপক অরুপ সাহা জানান, শুরুতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১০ কিলোমিটার এলাকায় এই সেবাদান করা হবে। এই সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জয়দেবপুর চৌরাস্তা হতে ময়মনসিংহের পথে ১০ কিলোমিটার এলাকায় কোনো সড়ক দুর্ঘটনা হলে ট্রমালিংকের প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের বিনামূল্যে জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাদান করবে।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ৮০ কিলোমিটার এলাকায় জরুরি চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

আলোচনায় উল্লেখ্য করা হয় যে, মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবাদানে ‘ট্রমালিংক’ বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সংস্থা। স্থানীয় জনগণের সহায়তায় এটি স্বেচ্ছাসেবী সেবাদান করে। ট্রমালিংক সেবা মডেল সার্বক্ষণিক একটি হটলাইন নম্বর ব্যবহার করে এবং প্রশিক্ষিত স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ সেবাদানের জন্য নিয়োগ করা হয়।

পরে ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

বাংলা‌দেশ সময়: ২৯৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়া‌রি ১৮, ২০১৮
আরএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।