ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ধলেশ্বরীর তীরে নষ্ট হচ্ছে ১৫ কোটি টাকার সম্পদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
ধলেশ্বরীর তীরে নষ্ট হচ্ছে ১৫ কোটি টাকার সম্পদ মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর মুক্তারপুর সেতুর নিচে নষ্ট হচ্ছে টাকার সম্পদ/ ছবি: বাংলানিউজ

মুন্সীগঞ্জ: অযন্ত-অবহেলায় মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর মুক্তারপুর সেতুর নিচে নষ্ট হচ্ছে সরকারের ১৫ কোটি আট লাখ টাকার সম্পদ। বছরের পর বছর ১০টি ফেরি ও দুইটি পন্টুন অরক্ষিত থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের অধীনে থাকা এসব সরকারি সম্পদ দীর্ঘ ১০ বছরেও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা সরাসরি যোগাযোগের জন্য নির্মাণ করা হয় ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী ‘মুক্তারপুর’ সেতু।

সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই মুন্সীগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে অকেজো ও পরিত্যাক্ত ফেরিগুলো এনে মুক্তারপুর সেতুর নিচে রাখে ফেরি কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই সেখানে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে এসব সরকারি সম্পদ।

স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, ফেরি ও পন্টুনগুলোর অনেক অংশের লোহা চুরি হয়ে গেছে। পানির নিচে ডুবে রয়েছে কয়েকটি ফেরি। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারণে পন্টুনের একাংশ কাদায় ডেবে গেছে। ফেরিগুলোর ইঞ্জিন অনেক আগেই বিকল হয়ে গেছে এবং নষ্ট গেছে সচল মেশিনারিজ। এসব সরকারি সম্পদ দেখাশোনায় নিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। এভাবে চলতে থাকলে ২-৩ বছরের মধ্যে হারিয়ে যাবে সরকারের কোটি টাকার সম্পদ।  

ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (ফেরি রক্ষণাবেক্ষণ) সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, অকেজো এসব ফেরিগুলো রিপিয়ারিং করে নতুন করা ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য। তাই সওজ বিভাগ সার্ভে রিপোর্ট করে এসব দাখিল করে। এসব অকেজো ফেরির নাম রিপোর্টের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে নিলামের মাধ্যমে অকেজো ফেরিগুলো বিক্রি করা হয়। তবে এসব ধাপগুলো খুবই ধীরগতি সম্পন্ন হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুন্সীগঞ্জ সওজ বিভাগের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, এসব ফেরি ও পন্টুন এখন মেরামত অযোগ্য। যত দিন যাচ্ছে এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিলামে দামও কমে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।