ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ব্যাগভর্তি নতুন বই হাতে বাড়ি ফিরেছে শিশুরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
ব্যাগভর্তি নতুন বই হাতে বাড়ি ফিরেছে শিশুরা বই নিয়ে বাড়ি ফিরছে শিশুরা-ছবি-সুমন শেখ

গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১৭তম দিনটি ছিলো শিশুদের। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিশুপ্রহর থাকায় মেলার প্রবেশদ্বার খোলা হয় সকাল ১১টায়। মেলার শুরু থেকেই পাঠকের উপস্থিতি ছিল বেশ। 

এখন যারা মেলায় আসছেন তাদের বেশিরভাগই বইয়ের ক্রেতা। তাইতো শনিবার ব্যাগভর্তি নতুন বই নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে অনেককে।

অনেকে আবার বই কিনেছেন একেবারে লিস্ট ধরে ধরে। প্রিয় লেখক, প্রিয় বিষয়ের বই কিনছেন তারা। অনেকে বই কিনছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে।

শনিবার মেলায় নতুন বই এসেছে ২২১টি। বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘এ কে এম আহসান, খান শামসুর রহমান, মুজিবুল হক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

তিনজন কৃতী মানুষকে নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এম মোকাম্মেল হক, এনামুল হক এবং অধ্যাপক আবদুল মমিন চৌধুরী। ধন্যবাদ জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

আলোচকরা বলেন, এ কে এম আহসান, খান শামসুর রহমান এবং মুজিবুল হক প্রশাসনিক কর্মদক্ষতায় রাষ্ট্রের গণমুখী অভিমুখ নির্মাণে ভূমিকা রেখেছেন। প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি তাদের সমাজ ও মানুষের কল্যাণে দায়বদ্ধ করেছে। বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাংলার মানুষের সংগ্রামী অভিযাত্রায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে তারা সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।

বই দেখছে এক শিশু-ছবি-সুমন শেখ

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, এ কে এম আহসান, খান শামসুর রহমান এবং মুজিবুল হক প্রশাসনিক জগতের তিনজনই ছিলেন সৎ, নিষ্ঠাবান এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং এই রাষ্ট্রের মানবমুখী বিকাশের ক্ষেত্রে তাদের অবদান অসামান্য।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, এই তিনজনের কর্মক্ষেত্র ভিন্ন। তবুও তারা পাণ্ডিত্য, দেশপ্রেম এবং কর্তব্যনিষ্ঠার ক্ষেত্রে অভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন। দেশে ও বিদেশে কর্মসূত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যেমন পালন করেছেন তেমনি, দেশে মুক্তি আন্দোলনের নানা পর্বে অবদান রেখেছেন।

সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সাইমন জাকারিয়ার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ভাবনগর ফাউন্ডেশন’, অধ্যাপক লিয়াকত আলীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র’ এবং সাজেদুল ইসলাম ফাতেমীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘নকশীকাঁথা’ সঙ্গীত পরিবেশন করে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘এ এফ সালাহ্উদ্দীন আহ্মদ, মুজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী, এ কে নাজমুল করিম’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মুনতাসীর মামুন, মীজানূর রহমান শেলী এবং সোনিয়া নিশাত আমিন। সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এইচএমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।