ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর আগমনে রাজশাহীতে সাজ সাজ রব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে রাজশাহীতে সাজ সাজ রব ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন তিনি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে প্রধান অতিথির ভাষণ দিবেন।

জনসভার আগে তিনি রাজশাহীর ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে রঙিন হয়ে উঠছে রাজশাহী।

চারদিকে দেখা দিয়েছে সাজ সাজ রব। চলতি মেয়াদে এটি প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সফর।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক দিনের সরকারি সফরে রাজশাহী আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন রাজশাহীর সরদহে থাকা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের শিক্ষা সমপানী কুচকাওয়াজে অংশ নেন। একইদিন তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিয়ান সুগার মিল মাঠে স্থানীয় আওয়‍ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাষণ দেন।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জনসভাস্থল মাদ্রাসা মাঠে নৌকা সদৃশ বিশালাকার মঞ্চ নির্মাণ শুরু হয়েছে।

এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব ও সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুজ্জামান শেখরসহ আ’লীগ নেতারা রাজশাহীর জনসভাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে সামনে রেখে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাজশাহী মহানগর আ’লীগ। এতে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

তিনি জানান, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। গেট, ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে মহানগরীকে রঙিন করে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। জনসভাস্থল মাদ্রাসা ময়দানে নৌকা সদৃশ বিশালাকার মঞ্চ নির্মাণ শুরু হয়েছে। জনসভায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করেন এ নেতা।

এতে মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার জানান, প্রধানমন্ত্রী এসে ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ৯টির। এর বাইরে আ’লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৯টি দাবি জানানো হবে। রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী তার জনসভা থেকে এসব দাবি পূরণের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী যে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে ১৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পুঠিয়ায় বারনই নদীতে ড্যাম নির্মাণ, ২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে রাজশাহী (নর্থ) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণ, ১ কোটি ৫১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নওহাটা ফায়ার স্টেশন নির্মাণ, ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউট নির্মাণ।

এছাড়া রয়েছে বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের ৫ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, শহীদ কামারুজ্জামান সরকারি ডিগ্রি কলেজের ৫ তলা একডেমিক ভবন নির্মাণ, দামকুড়া হাট কলেজের ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, আড়ানী ডিগ্রি কলেজের ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, তানোর আব্দুল করিম সরকার ডিগ্রি কলেজের ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, বাগমারা কলেজের ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, বিড়ালদহ কলেজের ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ, রাজশাহী মহানগরীর নবনির্মিত ৮টি থানা ও গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন।
 
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী যে ৯টি উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তার মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, প্রায় ৯১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কাশিয়াডাঙ্গা ও মেহেরচণ্ডীতে জিআইএস বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ, প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ, ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি মহিলা কলেজের ৬ তলা ভিত বিশিষ্ট ছাত্রী নিবাস নির্মাণসহ বড়াল নদীর ওপর গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, গোদাগাড়ী ও চারঘাটে ভূমি অফিস নির্মাণ, মাড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ ও শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।