কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ধরলার পানির প্রবল স্রোতের তোড়ে ২৪ ঘণ্টার ভাঙনে কদমতলা এলাকায় প্রায় ৭শ’ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে প্লাবিত হয়েছে সিতাইঝাড়, আরাজী কদমতলা ও গোবিন্দপুর গ্রাম।
এছাড়া বর্ষণ আর উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমোরসহ ১৬টি নদ-নদীতে পানি বাড়তে থাকায় প্লাবিত হয়েছে জেলার প্রায় দেড় শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার মানুষ।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্র জানায়, বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ৩ হাজার ৭৪২ একর রোপা আমন তে পানিতে তলিয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান, ধরলার অব্যাহত ভাঙনে দু’দিনে কদমতলা এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৭শ’ মিটার ভেঙে গেছে। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে সিতাইঝাড়, আরাজী কদমতলা ও গোবিন্দপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভাঙনের মুখে পড়ায় এসব গ্রামের ৬৭টি পরিবার তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ কুতুব জানান, ভাঙনে তিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়ার জন্য তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুড়িগ্রাম উত্তর ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন সরকার জানান, কদমতলা এলাকার ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রতিরা কাজের প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও এখানে জরুরি প্রতিরা কাজ করার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হলেও পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১০