ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নীলফামারীতে তিস্তায় ঢলের পানি কমলেও দূর্ভোগ কমেনি বন্যাকবলিতদের

জেলাপ্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১০

নীলফামারী: তিস্তায় ঢলের পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি নীলফামারীর বন্যাকবলিত মানুষের। জেলার ডিমলা উপজেলায় টেপাখড়িবাড়ি ও পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে ৪ হাজার পরিবার মানবেতন জীবন যাপন করছে।

এসব মানুষের খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির কোনো ব্যাবস্থা নেই। ঢলের পানির তোড়ে গত দু’দিনে নদী ভাঙনে তলিয়ে গেছে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে ২৫টি বাড়ি।

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চড়খড়িবাড়ি গ্রামের শহীদুল ইসলাম (৪০) জানান, নদীতে ঢলের পানি কমলেও বন্যাক্রান্ত এলাকার ঘরবাড়ি থেকে পানি নামেনি।

ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওর্য়াডের সদস্য আব্দুল হালিম জানান, এখনও তার ইউনিয়নের আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এসব পরিবারের বাড়িঘরে পানি থাকায় চুলা জ্বালাতে পারছে না। গত দু‘দিনে তাঁর এলাকার ২৫ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে।

পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, তার ইউনিয়নে ৮ শ’ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। চারিদিকে ত্রাণের জন্য হাহাকার চললেও সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ পৌঁছেনি।

ডিমলা উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, তিস্তার  বন্যায় উপজেলায় ৪ হাজার পরিবার আক্রান্ত হয়েছে। বন্যাক্রান্তদের জন্য ৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

ডালিয়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে পানি কমতে শুরু করে। বুধবার বিকেলে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২১০, আগস্ট ২৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।