পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলে ইভটিজিংয়ের শিকার একই পরিবারের ৩ বোন মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় বখাটেরা তাদের যাতায়াতের পথে উত্যক্ত করত।
ইভটিজিংয়ের শিকার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের ওই তিন বোন- বাউফলের কালাইয়া রব্বানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ফাজিল’র ছাত্রী ছালমা বেগম, আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী হাওয়া বেগম ও খেজুরবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়ম।
জানা যায়, একই এলাকার আলী আহম্মেদের বখাটে ছেলে ইরান, খালেক বাড়ির ছেলে ফিরোজ ও আজাহার সরদারের ছেলে রিয়াজ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় ওই তিন বোনকে মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করতে শুরু করে। বিষয়টি বখাটে যুবকদের অভিবাবকদের জানানো হলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের অপহরণের হুমকি দেয়।
২৩ আগস্ট বড় বোন ছালমা লিখিতভাবে বাউফল থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শীল মনি চাকমাকে জানালে, তিনি অভিযোগটি থানায় জিডি হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করেন। ( জিডি নং ১০৩৩ তারিখ: ২৩/৮/১০)। এরপর তিনি আর কোনো ধরনের ব্যাবস্থা না নেওয়ায় তারা বখাটেদের উৎপাতের ভয়ে মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি শীল মনি চাকমা বলেন, ‘মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা আমার জানা নেই। তবে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১০