ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রায়ে প্রমাণ হয়েছে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮
রায়ে প্রমাণ হয়েছে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে:  বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের রায়ের মধ্যে দিয়ে আইনের চোখে সবাই সমান এটা প্রমাণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বলেছিলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। বঙ্গবন্ধু ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে।

খালেদা জিয়ার দুর্নীতির বিচার হলো। এই রায় সেটাই প্রমাণ করেছে। এর মধ্যে দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।  

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার এই মামলা ১০ বছর চলেছে। মামলা যাতে না চলে সেজন্য বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। বার বার হাজিরার তারিখ পাল্টানো হয়েছে, তিনজন বিচারককে পাল্টানো হয়েছে। পুলিশের উপর হামলা হয়েছে, আসামি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার তারিখ আগে থেকে জানানো হয়। বিচারপতি সকাল ১০টায় এসে বসে আছেন, অথচ খালেদা জিয়া যান না। তিনি গেলেন পরে। আদালতের প্রতি, আইনের প্রতি, বিচারকের প্রতি তার কোনো সম্মান নেই।  

শেখ সেলিম বলেন, পুলিশ খালেদা জিয়াকে আদালতে আনার সময় যে পথে আনতে চেয়েছে তিনি সেই পথে যাননি। তিনি গেলেন মগবাজার দিয়ে। সেখানে আগে থেকে বিএনপির কর্মীরা ছিলো, তারা এসে অরাজকতা করার চেষ্টা করেছে, পুলিশের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেছে। পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে তাকে আদালতে নিয়েছে। কোনো ঘটনা ঘটলে খালেদা জিয়া অজুহাত দেখিয়ে বলতো, আদালতে যেতে পারলাম না। এরা অপরাধ করবে, দুর্নীতি করবে, তাদের কিছু বলা যাবে না এটা হতে পারে না। মামলার রায় বানচালের জন্য লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলা করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, জেনারেল জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, জেল হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের হত্যার বিচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তার দল বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। জেনারেল জিয়ার মতো মার্শাল ল গণতন্ত্র এ দেশে আর কোনদিন আসবে না।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জয় ললিতা, বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের দুর্নীতির বিচার হয়েছে, তারা কোনো বিশৃঙ্খলা করেনি, নাটক সাজায়নি। তবে খালেদা জিয়ার মামলার ক্ষেত্রে কেন করা হবে? এদেশে আর দুর্নীতিবাজ, অপরাধীরা পার পাবে না। খালেদা জিয়ার সৌদি আরবে টাকা পাচারের যে তথ্য বেরিয়েছে, সেটিরও বিচার হবে। তারা যে অপরাধ করেছে, দেশের মানুষ আর তাদের গ্রহণ করবে না, প্রত্যাখ্যান করবে। এই অপরাধীদের রাজনীতি আর এদেশে চলবে না।  

**বিএনপি আর দাঁড়াতে পারবে না

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮ 
এসকে/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।