ঢাকা: এক সময় পাট ছিল আমাদের প্রধান রপ্তানিপণ্য। কিন্তু বিদেশিদের পরামর্শে আমরা পাটশিল্পকে ধ্বংস করেছি।
বুধবার জাতীয় প্রেসকাবে এইড একাউন্টেবিলিটি গ্র“প আয়োজিত ‘বৈদেশিক সাহায্যের কার্যকারিতায় নাগরিক সংগঠনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় পল্লী-কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় বিদেশি সাহায্যের বিরোধী। বিদেশি সাহায্য যখন আসে, তখন দেখতে হবে তা দেশের জন্য ভালো না মন্দ। ’
খলীকুজ্জামান বলেন, ‘আমি মনে করি বিদেশি সাহায্য ছাড়াই আমাদের চলবে। কারণ মোট জাতীয় আয়ের ২ শতাংশেরও কম আবদান রাখছে বিদেশি সাহায্য। এর অর্ধেক আবার চলে যাচ্ছে ঋণ পরিশোধে। তাই এর কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। ’
এ সময় তিনি আমেরিকার বাজার ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, ‘আমেরিকা অন্যদের বাজার উন্মুক্ত করতে বললেও নিজেরা নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির দিকে যাচ্ছে। ’
আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য রাখেন ড. পিয়াস করিম, রাশেদ আল মাহমুদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের উন্নয়নে বিদেশি সাহায্যের ভূমিকা খুবই কম। এখন বিদেশি সাহায্য না হলেও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে থাকবে না। দেশের যেসব সংস্থা বিদেশি সাহায্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, তাদের পাশাপাশি দাতাদেরও জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১০