ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

উল্লাপাড়ায় বিএডিসি কর্মচারীকে মারধর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
উল্লাপাড়ায় বিএডিসি কর্মচারীকে মারধর

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিএডিসি (ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প) অফিসে ঢুকে ছানোয়ার হোসেন নামে এক কর্মচারীকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুস সামাদ সরকারের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপরে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত ছানোয়ার হোসেন বিএডিসি উল্লাপাড়া অফিসের সহকারী মেকানিক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএডিসি (সেচ প্রকল্প) উল্লাপাড়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশাফুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, দুপুর ১২টার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি আব্দুস সামাদ সরকার অফিসে এসে সহকারী মেকানিক ছানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোনে অসদাচরণের অভিযোগ করেন। এ সময় সহকারী মেকানিক ছানোয়ার হোসেনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সামাদ সরকার অফিস থেকে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর ১৫/১৬ জনের একটি দল কার্যালয়ে এসে ছানোয়ারকে বেদম মারধর করে চলে যান। এতে তিনি আহত হলে তাকে উদ্ধার করে উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আতিকুর রহমান জানান, সানোয়ারের মাথা ও নাকে আঘাত রয়েছে। মাথায় সেলাই দেওয়ার পরও বমি হয়েছে। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ার শঙ্কায় তাকে বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুজ্জামান বলেন, অফিসে ঢুকে কোনো কর্মচারীকে মারপিটের ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্করজনক। উভয়পক্ষই আমার কাছে এসে যার যার কথা বলেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সামাদ সরকার বলেন, পঞ্চক্রোশী গ্রামের ফজলু নামে এক কৃষকের সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য বিএডিসির প্রতিবেদন পেতে সহকারী মেকানিককে ৩ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। ঘুষ পেয়েও ছানোয়ার কাজ না করায় বিষয়টি আমাকে জানায় ফজলু। এ বিষয়ে তাকে ফোন করলে তিনি আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বিষয়টি নিয়ে তার অফিসে অভিযোগ দিলে তিনি আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে আমার উপর উত্তেজিত হয়ে কিল ঘুষি মারতে শুরু করেন। পরে আমিও তাকে কিল ঘুষি মেরেছি। আমার হাতের আংটি রয়েছে, এতে তার ইনজুরি হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।