ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পিপিপি’র মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণের প্রস্তাব

এমএকে জিলানী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১০
পিপিপি’র মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণের প্রস্তাব

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্প সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

নতুন এই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটি পিপিপি ভিত্তিতে নির্মাণের অনুমতি চেয়ে এরই মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।



গত ২২ আগস্ট ভারপ্রাপ্ত সচিব শফিক আলম মেহেদী স্বাক্ষরিত চিঠিটি কমিটির কাছে পাঠানো হয়।

নির্মাণকাজে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হবে। তাই পিপিপির মাধ্যমে এর বাস্তবায়ন যৌক্তিক হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।  

এ বিষয়ে শফিক আলম মেহেদী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘প্রাক সম্ভাব্য সমীক্ষা কমিটির ধারণা অনুযায়ী প্রস্তাবিত বিমানবন্দরটি নির্মাণে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। বিপুল অংকের এই অর্থ সরকারের একার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয় বলেই পিপিপি’র মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ’

পিপিপির মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটি কী হবে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, ‘নিয়ম মেনেই অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমতি চেয়েছি। অনুমতি দেওয়ার আগে এ বিষয়ে বলা যাবে না। ’

সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত বিমানবন্দর স্থাপনে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্যকে (অর্থ) সভাপতি করে নয় সদস্যের একটি প্রাক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সম্ভাব্য স্থান নির্বাচন, যাতায়াত ব্যবস্থা, প্রাথমিক নকসা প্রণয়ন ও সম্ভাব্য ব্যয় নিরুপণ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

প্রতিবেদনে তিনটি এলাকায় বিমানবন্দর স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত স্থানগুলোর প্রথমটি হচ্ছে, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল, আমিরাবাড়ী, মোক্ষপুর ও মঠবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন মৌজার ২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ত্রিশাল উপজেলার রামপাল, কানিহারী, কাঁঠাল ও বৈলা ইউনিয়নের বিভিন্ন মৌজার ২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি। তৃতীয়টি হচ্ছে, টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী ৩০ কিলোমিটার লম্বা এবং ১০ কিলোমিটার প্রস্থবিশিষ্ট চর এলাকা।

মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিমানযাত্রীদের মোট ৮০ শতাংশ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে যাতায়াত করে। এই বিমানবন্দরে একটি মাত্র রানওয়ে রয়েছে এবং প্রতিবছর যাত্রী পরিচালনার ক্ষমতা ৮০ লাখ। যা বিমান যাত্রীর সংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল। এছাড়া প্রান্তিক ভবনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় পাঁচ স্তরবিশিষ্ট আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই বর্তমান সরকার বিশ্বমানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। ’

প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের নাম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিমানবন্দরটি স্থাপন সরকারের একটি অগ্রগণ্য প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হয়ে দারিদ্র বিমোচনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ কর্মসূচিতে (সংশোধিত দ্বিতীয় পর্যায়) ২০০৯-১১ আর্থিক বছরে স্থান করে নিযেছে বলেও চিঠিতে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৮০০ ঘণ্টা, ২৫ আগস্ট, ২০১০।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।