ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রামের ট্রাফিক সিস্টেম: সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বসছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি

হাজেরা শিউলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১০
বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রামের ট্রাফিক সিস্টেম: সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বসছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আনতে দীর্ঘ ২১ বছর পর আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল বাতি স্থাপন করা হচ্ছে। এ কাজে ব্যয় হবে সাড়ে তিন কোটি টাকা।



চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)’র ট্রাফিক বিভাগের দিকনির্দেশনা অনুসারে ইতোমধ্যে নগরীর বিভিন্ন ট্রাফিক পয়েন্টে সংস্কার এবং আধুনিকায়নের কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
 
নগরীর যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ১৯৮৯ সালে প্রথম সিগন্যাল লাইটপোস্ট ও বাতি লাগায় চসিক। এরপর আর বড় ধরনের কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। ২০০৭ সালের ১১ জুন প্রবল বর্ষণে বাতিগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে যায়।

চসিক ও ট্রাফিক বিভাগ জানায়, বেশির ভাগ সিগন্যাল বাতি নষ্ট হওয়ায় এখন হাতের ইশারায় চলছে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। ফলে পিকআওয়ারে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে প্রতিদিন যানজট লেগে থাকে।
 
এ প্রসঙ্গে সিএমপি’র উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) ফারুক আহমেদ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরবিডিকে বলেন, ‘বিদ্যমান ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্ট ত্রুটিপূর্ণ এবং বাতিগুলো নিম্নমানের। ’

এতে সবুজ, হলুদ ও লাল সিগন্যাল নির্দেশের জন্য মাত্র একটি করে বাতি থাকায় এটি বিকল হলে পুরো ব্যবস্থাই অকার্যকর হয়ে পড়ে বলে জানান তিনি।

উপ-কমিশনার বলেন, ‘আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় সিগনাল বাতি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হলে ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। ’

নতুন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আওতায় নগরীর ১০টি ট্রাফিক পয়েন্টে স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিক সিগন্যাল বাতি লাগানো হচ্ছে। পয়েন্টগুলো হচ্ছে টাইগার রোড ক্রসিং (বায়েজিদ বোস্তামী), মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নম্বর গেইট, জিইসির মোড়, ওয়াসার মোড়, ইস্পাহানির মোড়, আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়, নিউমার্কেট, কাজীর দেউড়ি এবং লালদীঘির মোড় (সিএমপি’র সদতর দফতরের সামনে)।

চসিক সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি পয়েন্টে স্বয়^ংক্রিয় ও আধুনিক সিগনাল বাতি স্থাপন এবং দতার সঙ্গে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য মাইক্রোপ্রসেসর কন্ট্রোলার বসানো হবে।

এ লক্ষ্যে শুরু হওয়া উন্নয়নকাজের আওতায় ট্রাফিক সিগনাল পোস্ট উঁচু, নতুন ভার্টিকাল পোস্ট নির্মাণ এবং রাস্তার ওপর পুরোনো সিগন্যাল বাতির ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তার সরিয়ে মাটির নিচে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।

এ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুল হক বাংলনিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘একসঙ্গে পুরো অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রথম পর্যায়ে ১০টি পয়েন্টে আধুনিক সিগন্যাল বাতি লাগানো হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে আরো ১৫টি এবং পর্যায়ক্রমে বাকি ১৮টি পয়েন্টে ট্রাফিক পদ্ধতিকে উন্নত করা হবে। ’

এতে প্রচুর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি যানজটও অনেক কমে যাবে বলে জানান তিনি।

মাহফুজুল হক আরও জানান, এখনকার ট্রাফিক পোস্টগুলোতে ব্যবহৃত সিগন্যাল বাতির প্রতিটিতে যেখানে ৫০ থেকে ১০০ ওয়াট বিদ্যুৎ লাগে সেখানে আধুনিক সিগন্যাল বাতিগুলো (লাইট ইমিটিং ডায়ড) মাত্র ১৮ ওয়াটেই জ্বলবে।

আধুনিক এলইডি বাতি কেনার জন্য ইতোমধ্যে কার্যাদেশ ও দিয়েছে চসিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad