ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রোহিঙ্গা ফেরাতে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত এডিবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
রোহিঙ্গা ফেরাতে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত এডিবি এডিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েনচাই ঝাং/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রোহিঙ্গা ফেরাতে বাংলাদেশ চাইলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকে (এডিবি) সহযোগিতা দেবে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই দেশই এডিবি'র সদস্য। মিয়ানমার চাইলেও এ সহযোগিতা দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) শেরে-বাংলা নগরে ব্যাংকটির কার্যালয়ে এসব কথা বলেন এডিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েনচাই ঝাং। এসময় এডিবি'র বাংলাদেশের পরিচালক মনমোহন প্রকাশ উপস্থিত ছিলেন।



ওয়েনচাই ঝাং বলেন, আমি সরকারের অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা আমাকে বলেছে মিয়ানমারের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমি জানিনা কত দিনে রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে। রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে যাক এটিই আমি চাই।

২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হতে হলে বাংলাদেশের কী করতে হবে এমন প্রশ্নে ওয়েনচাই ঝাং বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে এডিবি বাংলাদেশের সঙ্গে আছে। কীভাবে নতুন কর্মসংস্থান করা যায়। কয়েক বছর ধরে ৬/৭ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এটি চালু রাখতে ৫/৭ বছরের পরিকল্পনা নিতে হবে। সরকার ২০২০ সালে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি টার্গেট ধরেছে।

‘কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য আরো অনেক বেশি বেসরকারি বিনিয়োগে দরকার। ছোট ও মাঝারি শিল্প গড়ে তুলতে হবে। গ্রাম অঞ্চলে প্রকল্প ও শিল্প প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা বেসরকারি বিনিয়োগে সাহায্য করতে চাই। অনেক খাতেই উন্নতি করার অবকাশ আছে’।

তাছাড়া সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করতে হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইপিজেড করতে হবে। কর্মীরা বিদেশ থেকে খেটে বৈদেশিক মুদ্রা আনছে, কিন্তু এ দেশেই জনগণের আয় বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এ চ্যালেঞ্জ জয় করতে পারবে। কারণ তার রয়েছে বৃহত্তর যুবা শক্তি, ধারাবাহিক গণতন্ত্র, আর ভৌগলিক অবস্থান। আঞ্চলিক বাণিজ্যে সেতু হিসেবে এ দেশের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। এজন্য নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদি প্লান।

ওয়েনচাই ঝাং বলেন, আমি খুব আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু সহজ নয়। কঠিন পরিশ্রম করলে অবশ্যই সম্ভব। ২০৩০ স্থায়ী লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। উন্নত দেশ হতে হলে এতো টাকা লাগবে। এটি কোথা থেকে আসবে। এর একমাত্র সমাধান বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ।

মানব উন্নয়ন এবং মান উন্নয়ন খুব দরকার। বিশেষ করে যুবাদের টেকনিক্যাল শিক্ষা। শুধু সংখ্যা নয় শিক্ষার মান উন্নয়ন দরকার। জলবায়ু সংকট কীভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে, কারণ এটি উন্নয়নকে বাধা দিতে পারে। গ্রাম-শহরে ইনকামে বৈষম্য কমাতে হবে। নারীর জন্য আরো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশুদ্ধ পানি সবার জন্য নিশ্চিত করতে হবে। আসিয়ান ও অন্য আঞ্চলিক সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি বিশেষ করে ঢাকায় যানজট নিরসনে অনেক কিছু করার আছে বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
কেজেড/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।