ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মা-মেঘনা নদী খনন করে চলাচল স্বাভাবিক করা হবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
পদ্মা-মেঘনা নদী খনন করে চলাচল স্বাভাবিক করা হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চাঁদপুর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চাঁদপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এ জেলার পদ্মা ও মেঘনা নদী দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ লঞ্চে যাতায়াত করেন। তাই এসব নদীগুলো খনন করে চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে নদী খননের কয়েকটি প্রকল্প চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো নদী খনন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি জেলে মানিক দেওয়ান ও কৃষক মিজানুর রহমানের বক্তব্য শোনেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেলে ও কৃষকদের বক্তব্যের মাধ্যমে আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি। কারেন্টজাল যারা তৈরি করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলে পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য সরকার কাজ করছে। তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ শিকার করার জন্য গড়ে তুলতে হবে। কারণ আমরা এখন প্রাইমারি থেকে পিএসডি পর্যন্ত বৃত্তির ব্যবস্থা রেখেছি। আর এসব বৃত্তির টাকা সরাসরি তাদের মোবাইলে চলে যাচ্ছে। বছরের শুরুতে বিনামূল্যে বই দেয়া হচ্ছে। এতে করে জেলেদের সন্তান শিক্ষিত হওয়ার জন্য কোনো সমস্যা নেই।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যায় ফসলের ক্ষতি, আলু সংরক্ষণের অভাবে ও ন্যায্য মূল্য পাওয়ার দাবিতে কৃষক মিজানুর রহমানের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আলু সংরক্ষণের চেয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আলু দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা যায়। এসব পণ্য দেশীয় বাজারে বিক্রি করা যাবে। আমরা এখন প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রতি দৃষ্টি দেব।

বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প অনেক সম্ভাবনাময়। চাঁদপুরে পরিকল্পিতভাবে পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে পারেন। কারণ পর্যটন শিল্পে নৌ-ভ্রমণ খুবই আনন্দদায়ক। ইচ্ছে করলে জাহাজে করে পরিবারসহ এসে ভ্রমণ করে সহজেই গন্তব্যে চলে যেতে পারবেন। চাঁদপুরে যে পদ্মা-মেঘনার মিলনস্থল তা দেখার জন্য আমরা ছোট বেলায় আগ্রহসহ অপেক্ষায় থাকতাম। চাঁদপুর ঘাটে জাহাজ এলে হাড়িতে করে মিষ্টি আনা হত। পেট চুক্তি খাবার ছিল। তবে জাহাজের হুচাল দিলে খাবার রেখে অনেকে চলে যেত যোগ করেন- প্রধানমন্ত্রী।

চাঁদপুরের সার্বিক উন্নয়নের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের বিবরণ শুনে প্রশংসা করেন এবং বলেন চাঁদপুরে চাঁদের হাট বসেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গণি পাটওয়ারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।