ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বর্তমান সরকারের আমলে দেশে কোনো মঙ্গা হবে না: খাদ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১০

ঢাকা : খাদ্যমন্ত্রী ডক্টর আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অব্যাহত রাখতে সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষিখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। আশা করা যায়, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে কোনো মঙ্গা হবে না।



তবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের বহুমুখীকরণ করাটা জরুরি বলেও মনে করছে খাদ্যমন্ত্রী।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসকাবে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘বাজেট ২০১০: ভিন্ন চোখে দেখা’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আলোচনাসভায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে উপস্থিত আলোচক ও বিভিন্ন মহলের বক্তব্যের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারলে সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন কোনো ব্যাপার-ই নয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে জিডিপি-তে কৃষি খাতের অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। এটা বাড়ানো গেলেও প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব।

ইআরএফ সভাপতি মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ডক্টর হোসেন জিল্লুর রহমান, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতার উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী ও এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুণ।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ৩৮ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) কোনোভাবেই উচ্চাভিলাষী নয়। তিনি বলেন, বিগত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে কোনো বছরেই ২০ হাজার কোটি টাকার এডিপি’র বেশি বাস্তবায়িত হয়নি। সেদিক থেকে চলতি অর্থবছরে ২৮ হাজার কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়িত হবে বলে ‘প্রাক্কলন’ করা হয়েছে।

মন্ত্রীর বক্তব্যের আগে ইনাম আহমেদ চৌধুরী তার বক্তব্যে ‘পিআরএসপি গ্রহণ সঠিক হয়নি’ বলে মন্তব্য করেন। এ প্রসঙ্গে আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিগত সরকারের আমলেই পিআরএসপি প্রথম গ্রহণ করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার শুধু এর মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়েছে।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে বিতর্ক তোলা অহেতুক। তবে সরকারের পরিসংখ্যানগত দুর্বলতা থাকা উচিত নয়। কারণ সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। ’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অন্তর্নিহিত শক্তি রয়েছে তা দিয়ে পাঁচ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা অনায়াসে সম্ভব। আর জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার এর থেকে বাড়াতে হলে জোড়ালো নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন। ’

এজন্য আমলাতান্ত্রিক দক্ষতা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগ্যতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা থাকা দরকার বলে উল্লেখ ডক্টর হোসেন জিল্লুর বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এর থেকে বেরিয়ে আসার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। ’

যে কোনো সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সার্বিক দিক বিবেচনায় আনার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
 
ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুণ বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যেভাবেই হোক দ্রুত বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান এবং এ খাতে বিনিয়োগ জরুরি। কিন্তু বিনিয়োগের জন্য সরকারকে ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করতে হবে এবং নীতিমালাও হতে হবে বিনিয়োগ বান্ধব। তা না হলে কালো কিংবা সাদা কোনো টাকাই বিনিয়োগ হবে না। ’

বাংলাদেশ সময় : ১৮২৭ ঘন্টা, ২০ জুন, ২০১০
এসআর /এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।