ঢাকা: বিচার পরিচালনায় দীর্ঘসূত্রতা ও মামলার জট কমাতে পুরনো আইনে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার।
এ লক্ষ্যে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি আইন’কে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর এলজিইডি ভবনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ একথা বলেন।
‘রেসটোরেটিভ জাস্টিস সিস্টেটম’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মামলার সনাতন পদ্ধতি থেকে নিষ্কৃতি পেতে চাই। ব্রিটিশ আমলের আইনে আর চলে না। সময় এসেছে নতুন আইন তৈরির। ’
এ সময় তিনি ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি আইন’ ও রেসটোরেটিভের (শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারকদের সমাজের ইতিবাচক দিক বিবেচনার মানসিকতা) নানা দিক তুলে ধরেন।
তিনি জানান, নতুন আইনে মামলা মীমাংসার জন্য বিচারক বাদী ও বিবাদীকে দুই মাস সময় দেবেন। এতে একজন মধ্যস্থতাকারী থাকবেন, যিনি উভয় পক্ষের কথা শুনবেন এবং নিজে কোনো বক্তব্য দিয়ে বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারবেন না।
এছাড়াও মীমাংসার অযোগ্য মামলা কম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি, থানায় মামলা নেওয়ার আগে পুলিশের উদ্যোগে উভয় পক্ষকে ডেকে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা, বাদী-বিবাদীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করা, অপরাধ স্বীকার করলে শাস্তি কমানো, অপরাধের ধরন অনুযায়ী শাস্তি হিসেবে সামাজিক কোনো কাজ বাধ্যতামূলক করা, ক্ষতিগ্রস্তকে ক্ষতিপূরণসহ বিকল্প সব ব্যবস্থা রাখা হবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল, আইজি (প্রিজন) বিগ্রেডিয়ার আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরজে গ্লোবাল কনসালটেন্টের চেয়ারম্যান ড. শাহেদ চৌধুরী ও পরামর্শক মাইকেল কেয়ানর্স।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১০।