ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

উপবৃত্তি প্রদানের হার ৭৩ শতাংশ কমেছে  

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৭
উপবৃত্তি প্রদানের হার ৭৩ শতাংশ কমেছে   শিশু বাজেট ২০১৭-১৮: প্রতিশ্রুতি ও উদ্বেগ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা

ঢাকা: প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত উপবৃত্তি প্রদানের হার আশঙ্কাজনক ভাবে কমে গেছে। মোট তিনটি শিক্ষা কর্মসূচিতে এই হার ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। উপবৃত্তি প্রদানের কারণে গ্রামে ও চরাঞ্চলে শিক্ষার হার বেড়েছে। তবে উপবৃত্তি বন্ধ করা হলে শিশুদের ঝড়ে পড়ার হারও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ গ্রামের বেশিরভাগ শিশুই উপবৃত্তির সহায়তায় বিদ্যালয়ে আসছে।

বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে 'শিশু বাজেট ২০১৭-১৮: প্রতিশ্রুতি ও উদ্বেগ' শীর্ষক ধারণাপত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
 
সেমিনারে ধারণাপত্র তুলে ধরেন সেভ দ্যা চিলড্রেনের ডেপুটি ডিরেক্টর (গভর্নস অ্যান্ড পাবলিক ফাইন্যান্স) মো. আশিক ইকবাল।

 

তিনি বলেন, 'শিশু-কেন্দ্রিক প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর প্রচেষ্টায় বিগত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই মন্ত্রণালয়গুলোর সার্বিক বরাদ্দের প্রবৃদ্ধির চেয়ে শিশু-কেন্দ্রিক কার্যক্রমের বরাদ্দের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। '
 
ধারণাপত্রে বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য ৫৬ হাজার কোটি টাকার পৃথক শিশু বাজেট দেওয়া হয়। বাজেটে স্বাস্থ্যখাতসহ কয়েকটি খাতে বরাদ্দ বাড়লেও শিক্ষাখাতে কমেছে। এতে ভবিষ্যতে শিশুদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। শিশু-কেন্দ্রিক বাজেট গত অর্থবছরের তুলনায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকায়, প্রবৃদ্ধির হার হিসেবে যা ২১.৪ শতাংশ।
 
ধারণাপত্রের সুপারিশে বলা হয়-  বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর ফলে সমাজের অনগ্রসর শিশুরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে। শিশু বাজেটের এটাই সবচেয়ে বড় সফলতা। এই বাজেটের ফলে সমাজের বিশেষ শ্রেণির শিশুরাও সমভাবে উপকৃত হচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্র অর্জনে আগামী বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে ২০ শতাংশ এবং শিক্ষাখাতে ২৫ শতাংশ বাড়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি শিশুদের জন্য বিনিয়োগে স্থানীয় সরকারকে আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।
 
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থমন্ত্রলায়ের অর্থ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।  

সেভ দ্যা চিলড্রেনের ডিরেক্টর (চাইল্ড রাইটস, গভর্নেন্স অ্যান্ড চাইল্ড প্রোটেকশন) লাইলা খন্দকার সেমিনারের সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন। চাইল্ড পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ফেরদৌস নাঈম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
 
প্রথমিক শিক্ষা খাতে বাজেট কমে যাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়, তবে সার্বিকভাবে বাজেট বেড়েছে।  শিশুদের বাজেট বরাদ্দ হয় তবে কেউ প্রকল্প দিচ্ছে না বলে অর্থ ছাড় হচ্ছে না।  সামগ্রিক বাজেট বরাদ্দ বাস্তবায়নে মনিটরিং বাড়াতে হবে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সম্প্রসারণে সরকার কাজ করছে।  উপবৃত্তি সবাইকে নয় বাছাই করে প্রদান করা উচিত। মন্ত্রী অভিভাবকদের প্রাইভেট পড়ার প্রতি মনোযোগী না হয়ে খেলাধুলার প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
এসই/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।