ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইয়াসমিন ট্রাজেডির ১৫ বার্ষিকী আজ

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১০
ইয়াসমিন ট্রাজেডির ১৫ বার্ষিকী আজ

দিনাজপুর: আজ ২৪ আগস্ট ইয়াসমিন ট্রাজেডি’র ১৫তম বার্ষিকী। মঙ্গলবার দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস।



১৯৯৫ সালের এ দিনে দিনাজপুরে একদল পুলিশ তরুণী ইয়াসমিন ধর্ষণ করে হত্যা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিােভে ফেটে পড়ে দিনাজপুরের মানুষ। প্রতিবাদী মানুষকে ল্য করে পুলিশ গুলি করলে সাতজন নিহত হন। রচিত হয় নতুন ইতিহাস।

দিবসটি পালন উপলে সম্মিলিত নারী সমাজ, মহিলা পরিষদ, এডাবসহ বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট ভোরে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওগামী হাছনা এন্টারপ্রাইজ নৈশ কেচের সুপারভাইজার ইয়াসমিন নামে এক তরুণীকে দিনাজপুরের দশমাইল মোড়ে নামিয়ে দেয়। সেখানে বাসের জন্য অপেক্ষা করেন ইয়াসমিন। কিছুণ পরই সেখানে পৌছে নৈশ্য টহল পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান। পুলিশ সদস্যরা চায়ের দোকানে বসে থাকা ইয়াসমিনকে নানা প্রশ্ন করে এক পর্যায়ে দিনাজপুর শহরে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ভ্যানে তুলে নেয়। এরপর দশমাইল সংলগ্ন সাধনা আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইয়াসমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রাখে।

এ ঘটনায় দিনাজপুরের মানুষ প্রতিবাদ-বিােভে ফেটে পড়েন। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে দোষীদের শাস্তি দাবি করা হয়। ২৬ আগস্ট রাতে হাজার হাজার জনতা কোতয়ালী থানা ঘেরাও করে। ২৭ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে কয়েক হাজার জনতা বিােভ মিছিল করে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করতে যায়। এ সময় পুলিশ বিােভকারীদের ল্য করে গুলি চালিয়ে সাতজনকে হত্যা করে। আহত হন তিন শতাধিক মানুষ।

ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি ৩টি আদালতে ১শ’ ২৩ দিন বিচার কাজ শেষে ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মতিন মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে আসামি পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মঈনুল, কনস্টেবল আব্দুস সাত্তার ও পুলিশের পিকআপ ভ্যান চালক অমৃত লালকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আদেশ দেন।

২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।

প্রতি বছর দিনাজপুরে সর্বদলীয়ভাবে দিবসটিকে পালনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২৪ আগস্ট দিনাজপুর শহরের প্রতিনিটি ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ ও শোক র‌্যালি।

নিহত ইয়াসমিনের মা শরীফা বেগম ২৪ আগস্ট তার বাড়িতে দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ ও দোয়া খায়েরের আয়োজন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।