ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এক রকিবের আত্মসমর্পণ, আর সবাই পলাতক!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এক রকিবের আত্মসমর্পণ, আর সবাই পলাতক!

সিলেট: আদালতের পরোয়ানাভুক্ত আসামি তিনি। তারপরও বিচরণ থানা ও ফাঁড়িতে। অবশেষে পুলিশের ইশারাতেই আত্মসমর্পণ করলেন হকারদের শেল্টারদাতা রকিব আলী।  
রোববার (২৬ নভেম্বর) রাত ১০টায় কোতোয়ালি থানায় গিয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করেন বলে জানিয়েছেন বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) বেনু চন্দ্র।

রকিব থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় বলে জানান তিনি।

তবে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় কোতোয়ালি থানাধীন বন্দর ফাঁড়িতে প্রবেশ করেন রকিব।

ঘটনাটি জানতে পেরে মহানগর পুলিশের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা রকিবকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ফাঁড়ি পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি হওয়াতে ওখান থেকে বেরিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন হকার্স নেতা।

সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নগরীর ফুটপাত দখলের আশ্রয়দাতা হিসেবে রকিবের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। রকিব থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।    

নগরীর হাঁটাচলার জায়গা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হকারদের দখলে চলে যাওয়ায় আইনজীবী সমিতি  সিলেট মহানগর মুখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো’র আদালতে আবেদন করেন। আদালত ঘটনাটি আমলে নিয়ে হকারদের নেপথ্যের মদতদাতাদের তালিকা চেয়ে সিসিক মেয়র ও কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

এই আদেশের প্রেক্ষিতে গত ১৮ অক্টোবর রকিবসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।

রকিব গ্রেফতার হলেও এ মামলায় এখনো পলাতক আছেন- মহানগর হকার্স কল্যাণ সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান, শফিক আহমদ, আবুল বাশার, রুহুল আমিন রুবেল, মখলেসুর রহমান, আব্দুল আহাদ, সাধারণ সম্পাদক খোকন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুমন আহমদ, জিন্দাবাজার অটোরিকশা স্ট্যান্ডের আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ইসলাম উদ্দিন, শফিক উদ্দিন, সদস্য সচিব ইফসুফ আলী, মধুবন পয়েন্ট ইমা/লেগুনা স্ট্যান্ডের সভাপতি সোহাগ মিয়া, সহ-সভাপতি মো. আদিল, সম্পাদক মো. কবির মিয়া, অর্থ সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া, রংমহল টাওয়ার অটোরিকশা/সিএনজি স্ট্যান্ডের সভাপতি আজমল হোসেন, সহ-সভাপতি মুরাদ হোসেন, ধোপাদিঘির পাড় ইমা/লেগুনা স্ট্যান্ডের সভাপতি সাহাবউদ্দিন সাবু, সহ-সভাপতি ফয়জুল মিয়া, কার্যকরি সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর নুর হিরণ, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ ও অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন আম্বরখানা-সালুটিকর শাখার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য তেরা মিয়া।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা স্বত্ত্বেও রকিবের মতো অন্য আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রকিব নিজেকে কখনো মহানগর হকার্স লীগ সভাপতি, কখনো হকার্স কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি হিসেবে প্রশাসনের কাছে পরিচয় দিয়ে সুবিধা নিতেন। নেপথ্যে তারও শেল্টারদাতা রয়েছেন। ফলে মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি হওয়া স্বত্ত্বেও কোতোয়ালির বন্দর ফাঁড়িতে ছিলো তার বিচরণ।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এনইউ/জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।