ঢাকা: আদালত অবমাননা মামলায় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পরবর্তী হাজিরার দিন ১১ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিমের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ মঙ্গলবার সকালে পরবর্তী শুনানির এ তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সকাল ৯ টায় মাহমুদুর রহমানকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার অপর আসামি আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশক হাশমত আলীর পে ব্যারিস্টার রফিক উল ইসলাম মিয়া আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘তিনি নিঃশর্ত মা চেয়েছেন। ’
এরপর মাহমুদুর রহমান নিজের পে বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত এ মামলার কোনও কাগজপত্র হাতে পাইনি। ’ এ কথা বলে তিনি শুনানির জন্য সময় প্রার্থনা করেন। তখন আদালত উল্লেখিত দিন ধার্য করেন।
শুনানি শেষে মাহমুদুর রহমানকে প্রিজন ভ্যানে তুলে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ১০ মে আমার দেশ পত্রিকায় মাহমুদুর রহমানের লেখা মন্তব্য প্রতিবেদন ‘স্বাধীন বিচারের নামে তামাশা’ প্রকাশের পর ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের দু’জন আইনজীবী তা আদালতে উপস্থাপন করেন।
এরপর গত ১৯ আগস্ট মাহমুদুর রহমানকে আদালতে হাজিরের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনালের এমকে রহমান ওই প্রতিবেদনটি আদালতে পড়ে শোনান এবং তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উত্থাপন করেন। এরপর আদালত মাহমুদুর রহমান ও হাশমত আলীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।
সেদিন এমকে রহমান পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, প্রকাশক হাশমত আলীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উত্থাপন করলে আদালত তাকে প্রশ্ন করেন, ‘একজন সম্পাদক যখন কোনও মন্তব্য প্রতিবেদন লেখেন তখন তার অধিনস্থদের কিভাবে সেই কারণে অভিযুক্ত করা যায়?’
এরপর আদালত শুধুমাত্র প্রকাশক এবং সম্পাদকের নামেই অভিযোগ আমলে নেন।
এর আগে একই পত্রিকায় ‘চেম্বার জজ আদালত মানেই সরকারের পে স্থগিতাদেশ’ নামে প্রতিবেদন প্রকাশের দায়ে আদালত অবমাননার দায়ে মাহমুদুর রহমানের ৬ মাসের জেল, ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম জেলদণ্ড হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১০