ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বার্থ উদ্ধারে সুফিয়া কামালের নাম ব্যবহার করা যাবে না

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
স্বার্থ উদ্ধারে সুফিয়া কামালের নাম ব্যবহার করা যাবে না রোববার রাজধানীর লালমাটিয়ায় কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সুফিয়া কামাল-তনয়া সুলতানা কামাল; ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কারো কোনো স্বার্থ উদ্ধারে বা হীন কাজে কবি সুফিয়া কামালের নাম ব্যবহার করা যাবে না। এমনটি করা হলে তাকে অবমাননা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকারকর্মী ও সুফিয়া কামাল-তনয়া সুলতানা কামাল।

রোববার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর লালমাটিয়ায় কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভলপমেন্ট ও ঢাকা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (ডিডিএফ)।

 

সুলতানা কামাল বলেন, সুফিয়া কামালকে যদি সত্যি কারো শ্রদ্ধা জানাতে হয়, তার আদর্শকে যদি ধারণ করতে হয়, তাহলে সবার আগে তার সাধারণ মানুষের বন্ধু হওয়ার মনোভাব থাকতে হবে। তাকে সৎ ও স্বচ্ছ হতে হবে।

মায়ের চরিত্রের আদর্শিক ও নৈতিক দিকগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, কারো স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে পরিবারের সদস্যদেরই সব করতে হয়। আমার মায়ের জন্য কেন এটা করলাম না, ওটা করলাম না, এ প্রশ্ন আমাকে সব সময় শুনতে হয়। অথচ মায়ের একটা নীতি ছিলো; আর তা হলো তিনি তার কোনো কাজে বা সংগঠনে পরিবারের কাউকে জড়াতেন না। তার ধারণা ছিল, তাহলে তার সন্তানেরা সুফিয়া কামালের নামে পরিচিত হবে। সবাই ‘খালাম্মার (সুফিয়া কামাল) মেয়ে বলেছে’ বলে সিদ্ধান্ত মেনে নেবে। এ কারণে মায়ের কোনো সংগঠনে আমি কাজ করি না।

তিনি বলেন, নারীর অধিকার যে মানবাধিকার একথা সুফিয়া কামালই প্রথম উচ্চারণ করেছিলেন। সুফিয়া কামালকে অনুসরণ (ফলো) করতে হলে, কেবল তার নাম নিলেই হবে না। তার আর্দশকেও ধারণ করতে হবে। তার ভেতরে কি ছিলো জানতে হবে। বর্তমান রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি আমাদের কদর্যতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হলে সুফিয়া কামালের আদর্শ স্মরণ করতে হবে।

সুফিয়া কামালের জন্মদিন জাতীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়ে স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভলপমেন্ট’র নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার বলেন, জাতীয়ভাবে সুফিয়া কামালের জন্মদিন উদযাপন করতে হবে। এটা আমাদের দাবি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যদি অসাম্প্রদায়িক হয়, নারী-পুরুষের বৈষম্য রোধে অগ্রগামী দেশ হয় তাহলে সুফিয়া কামালকে স্মরণ করতে হবে। বেগম রোকেয়া নারী-পুরুষের বৈষম্য দেখিয়ে দিয়েছেন। নারী-পুরুষের বৈষম্য জোরালোভাবে তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়েছেন সুফিয়া কামাল।

সুফিয়া কামালের আর্দশকে ধারণ করে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, শোনাতে হবে। তাহলেই তাদের মধ্যে অসম্প্রদায়িক মানবিক মূল্যবোধ গড়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সুফিয়া কামালের ছোট মেয়ে সাইদা সুলতানা, ডিডিএফের নির্বাহী পরিচালক মনোয়ারা বেগম মিনু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়:..ঘন্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এমসি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।