ঢাকা: যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে এমন কোনো ব্যক্তি এবার হজে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা, বিদেশি নাগরিক বিশেষ করে রোহিঙ্গারা এবার হজে যেতে পারবেন না। ’
সাহারা খাতুন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন অনেকে বিশেষ করে রোহিঙ্গারা আমাদের দেশের পাসপোর্ট নিয়ে হজের নামে পবিত্র ভূমিতে গিয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে এবং পরে আর দেশে ফেরত আসে না। এতে দেশের সুনাম ুণœ হচ্ছে। আজকের বৈঠকে এ বিষয়টির প্রতি বিশেষ নজর দিয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’
হজের নামে বিভিন্ন অপরাধীরা দেশ ত্যাগ করতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ভিনদেশি নাগরিক, রোহিঙ্গা, যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসীরা মুসল্লি বেশে দেশত্যাগের সুযোগ নিতে পারে। তারা বিদেশে গিয়ে নানা অপকর্ম করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। এবার তা করতে দেওয়া হবে না। ’
যুদ্ধাপরাধী বা ভূয়া বাংলাদেশি পরিচয়ে কেউ হজে যাওয়ার সুযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘হজে গিয়ে কেউ ফেরত না এলে এ জন্যও সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ’
সাহারা খাতুন জানান, আগস্ট মাসের মধ্যেই সম্ভাব্য হজ যাত্রীদের তালিকা হজ অফিসের মাধ্যমে এসবির হাতে পৌঁছাতে হবে। তালিকাভুক্তদের ব্যাপারে এসবি তদন্ত করবে। তাদের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তিতে হজ গমনেচ্ছুকদের পাসপোর্ট, ভিসা দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, ‘কেউ যদি ভিনদেশি নাগরিকের সনদ সত্যায়িত করে পাসপোর্ট পেতে সহায়তা করে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ছাড়াও স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল খান চৌধুরী, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল মাবুদসহ বিভিন্ন হজ এজেন্সির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১০