ঢাকা: দুর্যোগপ্রবণ এলাকার শিশুরা নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আঘাতে ঘরবাড়ি, স্কুল এমনকি মা-বাবাকে হারিয়ে শারিরিক এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এই দুর্বিসহ অবস্থা তাদের মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে।
এই প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চল বরগুনা উপজেলার ১৮ হাজার শিশুর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হবে এবং ৬০ হাজার মাকে শিশুদের মানসিক বিকাশে কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে তার ধারণা দেওয়া হবে।
প্ল্যান বাংলাদেশ ও সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ (স্যাপ)-বাংলাদেশ নামে দুটি বেসরকারি সংস্থা যৌথভাবে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ রোববার আগারগাঁও এর এলজিইডি মিলনায়তনে প্রকল্পটির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্ল্যান বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এডওয়ার্ড টমাস ইসপি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্ল্যান বাংলাদেশ এর লার্নিং অ্যাডভাইজার প্রবাক করিম তার মূল প্রবন্ধে বলেন, তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্পে ১৮ হাজার শিশু এবং ৬০ হাজার মা সরাসরি সুবিধা পাবেন। এর আওতায় ২০০ টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি করে শিশুদের অংশগ্রহণমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য মায়েদের কী ভূমিকা নিতে হবে এবং তারা নিজেরাও যে সঙ্কটে সম্মুখীন হয় তা মোকাবেলায় তাদেরও এই কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ’
ডক্টর শিরীন শারমিন প্রকল্পটির উদ্যোগ নেওয়ায় সংগঠকদের ধন্যবাদ জানান। প্রাক-প্রাকমিক শিক্ষায় শিশুদের এক বেলা খাবারে ব্যবস্থারও অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস বাচ্চাদেরকে পড়ানোর পাশাপাশি পুষ্টিকর কিছু খাবারের আয়োজন করা হলে ইসিসিডি প্রকল্পটি সফল হবে। ’
এডওয়ার্ড টমাস ইসপি বলেন দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় শিশু বিকাশ কর্মসূচি ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করতে ইসিসিডি প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কমিটিসমূহের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
প্রকল্পের মাধ্যমে মা ও শিশুর জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে স্থানীয় সরকারের ভ’মিকার কিছু সফল উদাহরণ সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
স্যাপ বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ নুরুল আলম, সেভ দ্য চিলড্রেন (ইউএসএ)’র প্রতিনিধি কামাল হোসেন, ব্রাক ইউনিভার্সিটির আইটি বিভাগের প্রতিনিধি ফরিদা আখতার এবং বরগুনা জেলার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এমএ খালেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘন্টা, জুন ২০, ২০১০
আরটি/এমএমকে/জেএম