উত্তরের বাণিজ্যিক সৈয়দপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা ও রেললাইনের দু’ধারে রয়েছে রেলওয়ের বিপুল পরিমাণ জমি। এসব জায়গা রাতারাতি দখল করে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা।
শহরের মিস্ত্রিপাড়া, বাঁশবাড়ি, রসুলপুর, গোলাহাট, পুরাতন বাবুপাড়া, নতুন বাবুপাড়া, সাহেবপাড়া, গার্ডপাড়া, মুন্সিপাড়া, নয়াবাজার, নিচু কলোনি ও অফিসার্স ক্লাব এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রথমে টিনের বেড়া দিয়ে দখলে নেওয়া হচ্ছে রেলওয়ের জায়গা। তারপর অনুমতি ছাড়াই রাতারাতি ইটের গাঁথুনি দিয়ে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন ও দোকান-পাট।
মাঝে মাঝে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেললাইনের দু’ধারের জায়গার অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করলেও আবারো দখলে চলে যাচ্ছে সেসব জায়গা।
এদিকে শহরের উন্নয়নে রেলওয়ের সঙ্গে সৈয়দপুর পৌরসভার দ্বন্দ্ব কিছুটা কমলেও এথনও বৈষম্য দৃশ্যমান। পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের পাঁচমাথা মোড় থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন সড়ক নির্মাণ করছে। সড়কটির উভয়পাশে শোভা বর্ধনসহ স্লাব দিয়ে ফুটপাত তৈরি করছে। এ কাজের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রেলওয়ে।
মামলাটির আসামি করা হয়েছে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এবং মিউনিসিপ্যাল সার্ভিসেস গর্ভনেন্স প্রজেক্টের (এমজেএসপি) প্রকল্প পরিচালককে।
সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র মো. আমজাদ হোসেন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ‘উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে যেকোনো বাধা আমরা আইনিভাবে মোকাবেলা করবো। এ কাজে পৌরবাসী অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকবেন’।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
এএসআর