তিনি চকপোতা গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের মেয়ে ও বাগড়া হঠাৎপাড়া এলাকার মো. রানার স্ত্রী।
বুধবার (১১ অক্টোবর) মধ্যরাতে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া হঠাৎপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) বুলবুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে রাতেই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মর্গে) পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পরপরই নিহতের স্বামীসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। তবে নিহতের শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
শ্বাসরোধ করে গৃহবধূ শিউলিকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও যোগ করেন ওসি-তদন্ত বুলবুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় বছর আগে বাগড়া হঠাৎপাড়া এলাকার ইমান আলীর ছেলে মো. রানার সঙ্গে শিউলি খাতুনের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের চার মাসের একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও পরিবারের অন্যরা মিলে তাকে নির্যাতন করতো।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতেও তাকে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ শেষ অবধি হত্যার অভিযোগে শাশুড়িকে আটক করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এমবিএইচ/বিএস