থানা পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে সোমবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এর আগে রোববার (০৮ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে কালিশুরী বাজার সংলগ্ন এলাকার একটি অটোরিক্সা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রেমের সূত্র ধরে বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদকাঠী গ্রামের নাজমুল হকের (৩০) সঙ্গে নাজিরপুর ইউনিয়নের শফিকুল ইসলামের মেয়ে সুমা আক্তারের ৪ বছর আগে বিয়ে হয়।
বিয়ের কিছুদিন পরই নাজমুল অন্য এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই বিবাদ হতো।
সুমার বাবা শফিকুল ইসলামের অভিযোগ, পরকীয়ার জের ধরে রোববার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে স্বামী নাজমুল ও তার পরিবারের সদস্যরা সুমাকে বেধরক মারধর করে। এক পর্যায়ে সুমা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তার স্বামী, শ্বশুরসহ পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে তারাই সুমার মরদেহ কালিশুরী বাজারে অটোরিক্সার ভেতরে রেখে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী জানান, গৃহবধূ সুমা আক্তারের মরদেহের সূরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠনো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। সুমাকে হত্যার বিষয়ে এখনো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিষপানে সে আত্মহত্যা করতে পারে এমন আলামত পাওয়া গেছে।
তবে বিষপানের ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭
এমএস/বিএস