শুধু মেঝে পাকা নয়, ১৭টি খুঁটির উপর দাঁড়ানো মজবুত টিনের এ ঘরে রয়েছে সুন্দর বারান্দা। রয়েছে টিন দিয়ে ঘেরা স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা।
সন্ধ্যা লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের পুর্ন চন্দ্রের স্ত্রী। শুধু সন্ধ্যাই নন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘরে মাথা গোজার ঠাঁই পেয়েছে সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের ৫৬৪টি পরিবার। যার মধ্যে হাতিবান্ধা উপজেলায় ২১টি, পাটগ্রামে ১৮০টি, কালীগঞ্জে ১০৩টি, আদিতমারীতে ৮০টি ও সদর উপজেলায় ১৮০টি দরিদ্র পরিবারকে এ ঘর দেয়া হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা জানায়, বিগত নির্বাচনের ইশতেহার অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা কেউ গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যাদের এক থেকে ১০ শতাংশ পরিমাণ জমি রয়েছে। কিন্তু বাড়ি নেই। এরকম দরিদ্র পরিবারগুলোর তালিকা প্রণয়ন করে জেলা প্রশাসন। যার পরিপ্রেক্ষিতে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৫৬৪টি পরিবারকে ঘর করে দেয়ার জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ দেয়া হয়। ইউএনওকে সভাপতি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে একটি পিআইসি কমিটির মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উপকারভোগী পুর্ন চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, আইয়োটের সময় (যুদ্ধের সময়) শ্যাক সাইব দ্যাশ স্বাধীন করছে, সেই শ্যাক সাইবের বেটি হামাক থাকপার জন্য পাকা ঘর দিচে, হামরা আর কিচ্ছু চাই না বাহে। শ্যাকের বেটিক হামরা ভুলবার নই। যুগ যুগ বাঁচি থাউক শ্যাকের বেটি।
পাটগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী বাংলানিউজকে জানান, পাটগ্রাম উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৮০টি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। খুব দ্রুত তা হস্তান্তর করা হবে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৬ দশমিক ৫ ফুট আয়তনের প্রতিটি বাড়ি ভ্যাট বাদে বরাদ্দ দেয়া হয় এক লাখ টাকা। পিআইসি কমিটির মাধ্যমে তার উপজেলায় ৮০টি ঘর তৈরি করা হচ্ছে। কাজ শেষের দিকে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বাংলানিউজকে জানান, ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রীর এমন স্বপ্ন বাস্তবায়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের ঘর-বাড়ি করে দেয়া হচ্ছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। জেলার সব উপজেলায় এ বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে উপকারভোগীদের কাছে তা হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৭
আরবি/আরএ