ক্যান্টিন ম্যানেজার ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে মারজানের বাকি খেয়ে টাকা না দেয়ার বিষয়টি জানা গেছে। বাকি খাতার কপি ও কর্মচারীদের রেকর্ডিং বাংলানিউজের হাতে রয়েছে।
বাকি হিসাবের খাতার কপিতে দেখা যায়, প্রথম খাতাটিতে (আগস্ট ২০১৬ পর্যন্ত) মারজানের দেনার পরিমাণ ২৬ হাজার ৭০০ টাকা। এরপর দ্বিতীয় খাতাটিতে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের ৫ থেকে অক্টোবরের ৯ তারিখ পর্যন্ত বাকি ২ হাজার ১৯০ টাকা, এর পর একই মাসের ১৭ তারিখ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত ৩ হাজার ২৪০টাকা। রাতের খাবার বাবদ কোনো দিন ২৮০, আবার কোনো দিন ২৫০ টাকা, আবার নাস্তা বাবদ ৫০, ৭৫, ১২০ এই রকম অঙ্ক মিলিয়ে ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব দাঁড়ায় ৮ হাজার ৪৯২ টাকায়। সে হিসাবে শুধুমাত্র ২টি হিসাবের খাতায় ৩৫ হাজারের মতো উঠানো আছে।
তবে টাকা পরিশোধের তাগাদা দিয়েও কাজ না হওয়ায় এক পর্যায়ে মারজানের বাকির হিসাবে লিখেন না বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে মারজান বাংলানিউজকে বলেন, আমি রাজনৈতিকভাবে প্রতিহিংসার শিকার। অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। আমি টাকা পরিশোধ করেছি।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আ জ ম শফিউল আলম ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমি বিষয়টা শুনেছি। ক্যান্টিন মালিক আমাকে এ ব্যাপারে কিছু বলেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এটি যেহেতু হলের বিষয়। আমি এ সম্পর্কে হল প্রাধ্যক্ষের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চাইবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৭
এসকেবি/এসএইচ