মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি জানান, শুল্ক গোয়েন্দা বিমানবন্দরের জিপিও সর্টিং সেন্টার থেকে ওই ক্রিম জব্দ করে।
পণ্যের চালানটি দুবাই থেকে ইকে-৫৮৬ এর মাধ্যমে মঙ্গলবার শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে।
মইনুল খান আরও জানান, জব্দকৃত ক্রিমের মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। পণ্যের চালানে কসমেটিক্স ও জুতা রয়েছে বলে ঘোষণা থাকলেও ইনভেন্ট্রি করে ক্রিম পাওয়া যায়।
দুবাইয়ের আব্দুল হালিম নামে এক ব্যক্তি ওই পণ্য আরিফুর রহমান বরাবর পাঠিয়েছে। আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-২০১৮ এর শর্ত ২৮ (ক) মোতাবেক এ ধরণের কসমেটিকস আমদানির ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের অনাপত্তি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এর আগেও এ ধরনের গায়ের রং ফর্সাকারী ক্রিম জব্দ হয়েছে। এছাড়া দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা-৩২ ও আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-২০১৮ এর অনুচ্ছেদ-২৮ (ক) এর বিধান অনুসরণ না করে কসমেটিকস আমদানি করায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৬৮ এর ক্ষমতাবলে পণ্য চালানটি জব্দ করা হয়।
এদিকে শুল্ক গোয়েন্দা প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে, এই ক্রিম গায়ের রং ফর্সা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দার নজরদারির ফলে এই চালানটি আটক করা সম্ভব হয়েছে। দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
এসজে/এএটি/