ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সন্তান হত্যায় সৎ মায়ের মৃত্যুদণ্ড

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৭
সন্তান হত্যায় সৎ মায়ের মৃত্যুদণ্ড শিশু হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শারমিন

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ির ধলপুর হাসনাহেনা লেন এলাকায় শিশু মায়মুনা (৬) হত্যা মামলায় তার সৎ মায়ের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমাইয়া ইসলাম শারমিন (৩০) রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় পড়ে শোনানো শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক শামীম আহাম্মদ এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি শারমিনকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। রায়ের আগে চার্জশিটের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মায়মুনার বাবা এবং মামলার বাদী আ. রাজ্জাক হাওলাদার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এ রায়ে আমি খুশি। এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। কোন সৎ মা আর কোন সন্তানের সাথে যেন এ রকম ঘটনা ঘটাতে সাহস না করে।

মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী আ. রাজ্জাক হাওলাদার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন। ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর রাজ্জাক তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের যান। পরদিন ১০ অক্টোবর তিনি খবর পান মায়মুনার মৃতদেহ বাথরুমের ড্রামে পাওয়া গেছে।

তিনি দ্রুত ঢাকা আসেন। বাসায় এসে বাম হাতের কব্জি ভাঙ্গা, ডান পায়ের গিরার ওপর কামড়ের দাগ ও ঘাড় মটকানো অবস্থায় মায়মুনাকে দেখতে পান।

বাদীর মা ফুলজান বিবি রাজ্জাককে জানান, ঘটনার দিন রাতে শারমিন মায়মুনাকে তার কাছে ঘুমোতে নিয়ে যান। পরদিন সকালে ফুলজান বিবি শারমিনের রুমে মায়মুনাকে দেখতে না পেয়ে বাথরুমের পানির ড্রামের ভিতর মাথা নীচের দিকে এবং পা উপরের দিকে থাকা অবস্থায় মায়মুনাকে দেখতে পান।

এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর ঘটনায় রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
এমআই/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।