বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনার চলমান কার্যক্রমের বিষয়ে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার নির্বাহীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথা জানান তিনি।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকতাদের সাথে কিছু খাদ্যদ্রব্য মজুতদারি প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক যোগসাজশে সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে খাদ্যদ্রব্য মজুত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করছি। আমরা কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না কিংবা ভবিষ্যতেও ছাড় দেব না।
বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আদালতের নির্দেশনা রয়েছে, আমরা যা কিছু করবো তা আদালতের নির্দেশনার আলোকেই করবো। বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে ৫৪টি মামলা হয়েছে, আরও মামলা হতে পারে। বাংলাদেশে অভাবের কারণে দুর্নীতি হচ্ছে না, যা হচ্ছে তা লোভের তাড়নায়।
গণমাধ্যম শুধু কমিশনের সংবাদ জনগণের কাছে পৌঁছে দেয় না অভিযোগেরও বড় উৎস গণমাধ্যম জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে কমিশনের কার্যক্রমের অংশীদার। আমার মনে হচ্ছে মানুষের নানাবিধ অভিযোগ জানানোর প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে ১০৬ নম্বর। কিন্তু অধিকাংশ অভিযোগই কমিশন আইনের তফসিল বহির্ভূত। আসলে দেশের সাধারণ মানুষ দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিল সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নয়। কমিশন শিগগিরই অভিযোগ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় পয়েন্ট পদ্ধতি চালু করার বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করছে। অভিযোগের পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকলে তা অনুসন্ধান করে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, ৭১ টিভি চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, একুশে টিভির প্রধান নির্বাহী মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭
এসজে/এমজেএফ