মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘দুর্নীতিমুক্ত সরকারি সেবা: দুর্নীতির অভিযোগের প্রকৃতি’ শিরোনামের এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এরআগে সকালে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মেয় দুদকের রাঙামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের নিজস্ব চার তলা ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন দুদক চেয়ারম্যান।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, এই অবৈধ মজুতদারির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দুদক অবশ্যই আইনের আওতায় আনবে। এছাড়া কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও অবৈধভাবে খাদ্য সামগ্রী মজুতকারী ব্যবসায়ীর মধ্যে ঘুষ-দুর্নীতির মতো অনৈতিক সম্পর্কের কারণে চালসহ খাদ্যপণ্যের মূল্য বাড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, জনগণের পকেটের টাকা আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে দুদক দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। বিশ্বে অনেক দেশ রয়েছে যারা অর্থনৈতিক মানদণ্ডে অনেক সমৃদ্ধ। কিন্তু আইনের শাসনের অভাবে উন্নত দেশের পরিচিতি পাচ্ছে না। কমিশনের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের মূল বার্তা হচ্ছে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের মনে রাখতে হবে জনগণকে প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান অনুসরণ করে নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেমে সেবা দিতে হবে। এর ব্যতিক্রম ঘটলে এবং কোনো প্রকার দুর্নীতি সংঘটিত হলে দুদক নির্মোহভাবে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মানযারুল মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিনসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
এসজে/এএ