সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
মিয়ানমার থেকে আসা এতিম শিশুদের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন অতীতের সব পৈশাচিকতাকে হার মানিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মহামানবের’ মতো ৫-৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছেন। এজন্য বিশ্ববাসী প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শিশুদের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য যা যা করা দরকার করবো। শেখ রাসেল পুর্নবাসন কেন্দ্রের আলোকে শিশুদের সেবা দেবো। শিশুদের জন্য স্মার্টকার্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিল্লার রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ পর্যন্ত প্রায় আঠার’শ এতিম শিশুর ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। যাদেরকে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টকার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে।
গুগল ফর্মে তাদের ডাটাবেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহ করে গুগলের মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়ার একদিন পরই স্মার্টকার্ড দেওয়া হচ্ছে। স্মার্টকার্ডের অর্ধেক অংশে ছবি ও বাকি অংশে এতিম শিশুর তথ্য দেওয়া রয়েছে।
বাংলাদেশে শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়সীদের শিশু হিসেবে বিবেচনা করা হয় জানিয়ে সচিব বলেন, ১৩-১৭ বছরটি খুবই ভালনারেবল। এ সময়ে তারা খারাপ কাজে জড়িয়ে যেতে পারে। তাদেরকে আলাদা টেন্টে নিয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সেবা দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। এতিম শিশুদের জন্য উখিয়া ও কক্সবাজারে ২০০ করে ৪০০ একরের জায়গায় আলাদাভাবে রাখা ও পরিচর্যা করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এতিম শিশুদের সংখ্যা ৫-৬ হাজার হবে জানিয়ে সচিব বলেন, গত দু’দিন থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এজন্য ১২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাতদিনে এ ডাটাবেজ তৈরির কাজ শেষ করা হবে বলে জানান সচিব।
তথ্য সংগ্রহ করা এতিম শিশুদের মধ্যে কেউ কেউ পরিজন, আবার পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা কোনো শিশু এসেছে অন্যদের সঙ্গে।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আগামী বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে এতিম শিশুদের ডাটাবেজ সংগ্রহ কার্যক্রম অগ্রগতি পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭/আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস