মানিকগঞ্জ: ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মরণ ফাঁদ হিসেবে পরিচিত পাটুরিয়া মোড়ে অবশেষে তিনটি গতিরোধক নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ(সওজ)। ৯০ ডিগ্রি বাঁক নেওয়া এই মোড়টি খুব শিগগিরই সম্প্রসারণও করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে ।
গত ৮ বছরে ছোট বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটেছে এই মোড়ে। সর্বশেষ এই মোড়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রাজিয়া বেগম ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমান।
ঢাকা আরিচা মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে এবং এই মোড়ে গতিরোধক নির্মাণের দাবি ছিল অনেক দিনের। সওজ বিভাগ এতোদিন কোন উদ্যোগ না নিলেও সম্প্রতি এই মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সচিব নিহত হওয়ার ঘটনায় সড়ক বিভাগের টনক নড়ে। পরে ২০ আগস্ট রাতে এই মোড়ে তিনটি গতিরোধক নির্মাণ করা হয়।
ট্রাকচালক ফারুক হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, এটি একটি বিপদজ্জনক মোড়। মোড়টিতে গতিরোধক দেওয়ায় দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে।
মানিকগঞ্জের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী চন্দন কুমার বসাক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপরে নির্দেশেই দুর্ঘটনা রোধে বিপজ্জনক এই বাঁকে গতিরোধক নির্মাণ করা হয়েছে। শিগগিরই মোড়টিকে সম্প্রসারিত করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আরিচা ফেরিঘাট পাটুরিয়ায় নিয়ে যাওয়ার পর চালু হয় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ উথলী-পাটুরিয়া সংযোগ সড়কটি। ঢাকা-অরিচা মহাসড়কের উথলী বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র কয়েক’শ গজ পশ্চিম থেকে প্রায় নব্বই ডিগ্রিতে বাঁক নিয়ে সড়কটি পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছেছে। এ মহাসড়কে বড় বাঁক আর একটিও ছিল না। দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা গাড়িগুলো ফেরি পাড় হয়েই খুব দ্রুত ঢাকার দিকে ছুটতো। অন্যদিকে ঢাকা থেকে আসা গাড়িগুলোও ফেরিতে ওঠার জন্য দ্রুতগতিতে ঘাটের দিকে আসতো। ফলে এ এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটতো তুলনামূলক অনেক বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১০