ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হরতালে বগুড়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
হরতালে বগুড়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হরতালে বগুড়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক- ছবি ও ভিডিও: আরিফ জাহান

বগুড়া: বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় সকাল থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী বাসগুলো নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিয়ে যাত্রী উঠাতে ব্যস্ত। যাত্রী হওয়ার পরপরই বাসগুলো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

একইভাবে সকাল থেকেই অভ্যন্তরীণ রুটে যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কে বিভিন্ন দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে।

শহরের ঠনঠনিয়া আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়। মালবাহী ট্রাকের চলাচলও ছিলো স্বাভাবিক।

সকাল থেকেই দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকে।

বিএনপির ডাকা অর্ধদিবস হরতালে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা হয়ে প্রতিদিনের মতো বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। বগুড়া-শেরপুরগামী করতোয়া গেটলক সার্ভিস চালু রয়েছে। অভ্যন্তরীণ  সবরুটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল ছিলো স্বাভাবিক। শহরের রাস্তায় রিকশা-ভ্যানের দাপট ছিল অন্যান্য দিনের মতোই।
হরতালে বগুড়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক- ছবি: আরিফ জাহান
শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের উত্তরের শিবগঞ্জ থেকে শেরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী সীমাবাড়ী পর্যন্ত একাধিক স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। বিএনপির ডাকা অর্ধদিবস হরতালকে কেন্দ্র করে কোথাও যেন কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো।

হাবিবুর রহমান, আহমদ আলী, হোসেন আলীসহ একাধিক বাস-ট্রাক চালক বাংলানিউজকে বলেন,  বিএনপি নেতা অপরাধ করেছে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতে গেছেন আদালত জামিন দেননি। নিয়মানুযায়ী তাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। এতে হরতালের কি আছে।

তারা বলেন, আমরা দিন এনে দিন খাই। এসব হরতাল-তরটাল বুঝি না। ঘুম ভাঙলেই পেটের কথা চিন্তা করতে হয়। তাই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছি। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। সবকিছু অন্যদিনের মতোই চলছে।

বগুড়া শহর, বনানী, শাজাহানপুর, শেরপুর, মাটিডালী, মহাস্থানসহ বিভিন্ন স্ট্যান্ডে অন্যান্য দিনের মতো সিএনজি চালিত অটোরিকশার দাপট ছিলো লক্ষ্যণীয়। নির্দিষ্ট রুটে ভোর থেকেই সিএনজিগুলো চলাচলা করতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা-বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক অন্যান্য দিনের মতো ব্যস্ত হয়ে ওঠে।

আজগর আলী, রুহুল আমীন, সাইফুল ইসলামসহ একাধিক সিএনজি চালক বাংলানিউজকে বলেন, গাড়ির চাকা ঘুরলে পেটে ভাত যায়। অন্যথায় উপোস থাকতে হবে। হরতাল মানলে না খেয়ে থাকতে হবে। তাই ভোর বেলায় গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি।  

এছাড়া কোথাও হরতালের প্রভাব নজরে পড়েনি যোগ করেন এসব চালকেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad