বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে বাংলায় দেওয়া নিজের ১৪তম ভাষণে তিনি এ আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই আমরা শান্তি-কেন্দ্রিক অভ্যন্তরীণ এবং পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে চলেছি।
‘শান্তিবিনির্মাণে জাতিসংঘের কার্যকর ভূমিকা অব্যাহত থাকবে’ বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অব্যাহত শান্তি’র জন্য অর্থায়ন বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছ থেকে আমরা সাহসী এবং উদ্ভাবনমূলক প্রস্তাব প্রত্যাশা করছি।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অন্যতম সেনা ও পুলিশ সদস্য প্রদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি মিশনগুলোর কার্যকারিতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা সমুন্নত রাখার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে বলেও স্মরণ করিয়ে দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমরা আমাদের নিজস্ব প্রস্তুতি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া বজায় রেখে চলছি। যে-কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক অঙ্গীকার প্রদান, শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি এবং অধিক সংখ্যায় নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েনে আমরা সদা প্রস্তুত রয়েছি।
এবারের ভাষণে বিশ্ব শান্তি ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পরিচালিত নৃশংস গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান তিনি। সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রমে সহায়তা, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ের ওপরও সময়োপযোগী ও দূরদর্শী বক্তব্য রাখেন তিনি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী গত ১৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। এবারের অধিবেশনে তিনি ৫২ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ সরকারি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
জেডএম/