কিছুক্ষণ পরে জয়নাল নামে এক কিশোর এসে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই আতপ চাল নিয়ে চলে গেলো।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুরের ওএমএসের ডিলার মেসার্স আরশাদ স্টোরে গিয়ে দেখা গেলো এই চিত্র।
এ সময় আজিজুর রহমানের কাছে চাল না নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাড়িতে আতপ চাল খাওয়া হয় না। আমরা খেতে পারলেও বাচ্চারা পারে না। তাই নিয়ে লাভ নেই।
আর রেবেকা খাতুন বলেন, আতপ চাল খাইনে। কিন্তু করার কিছু নেই। তাই বাধ্য হয়েই নিলাম। বাজারে তো আগুন।
তবে, কিশোর জয়নাল জানালো ভিন্ন কথা। বাংলানিউজকে সে বলে, মা পিঠা বানাবে। তাই আতপ চাল কিনতে আসছি।
এভাবেই ওএমএসের আতপ চাল নিয়ে সাতক্ষীরায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আতপ চাল কিনতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না মানুষ। যারা কিনছে, তাদের অনেকটা বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে আতপ চাল।
সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে জেলা সদরে ১১ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে পাঁচটি স্থানে ওএমএসের চাল বিক্রি হচ্ছে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলার প্রতিটি উপজেলার তিনটি স্থানে পর্যায়ক্রমে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হয়েছে।
সূত্র আরও জানান, এ পর্যন্ত ডিলাররা ২৪ মেট্রিকটন চাল উত্তোলন করেছে। যার মধ্যে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ১৭ মেট্রিকটন চাল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাল বিক্রি নিয়ে একজন ডিলার বাংলানিউজকে জানান, সাতক্ষীরার মানুষের সিদ্ধ চাল খাওয়ার অভ্যাস। এবার আতপ চাল দেয়ায় মানুষের আগ্রহ কম। যারা কিনছে, তারা বাধ্য হয়েই কিনছে। অন্যান্য সময় চাল নিতে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। কিন্তু এখন ঘণ্টায় একজনও চাল নিতে আসছে না।
এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুজিত কুমার মুখার্জী বাংলানিউজকে জানান, ওএমএসে এবার সারাদেশে আতপ চাল দেয়া হচ্ছে। কিছু বিভ্রান্তির কারণে বাজারে হঠাৎ চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।
এ পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেও আশা করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এসআই