বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মালয়েশিয়া থেকে আসা আমদানি নিয়ন্ত্রিত ওষুধের পণ্য চালানগুলো ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া খালাস নেওয়া হবে- এমন সংবাদ ছিল।
মইনুল খান আরও বলেন, পণ্য চালানগুলো মালয়েশিয়া থেকে এমএইচ ০১১২ এর মাধ্যমে কুয়ালালামপুর থেকে শাহজালালে আসে। পণ্য চালানগুলোতে কসমেটিক্স ঘোষণা থাকলেও ইনভেন্ট্রি করে ২১৪ পিস ইনজেকশনের ভায়াল পাওয়া যায়। আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-২০১৮ এর শর্ত ২৬ (১৬) মোতাবেক এ ধরনের ওষুধ শর্তযুক্ত আমদানিযোগ্য পণ্য। যা আমদানির ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে পূর্বানুমতির বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা যায়, শুল্ক গোয়েন্দা ইনভেন্ট্রিকালে প্রাপ্ত দলিলাদি যাচাই করে দেখে চালানগুলো কসমেটিক্স ঘোষণায় আনা হয়েছে। এতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে কোনো পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। দি কাস্টমস্ অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা-৩২ ও আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-২০১৮ এর অনুচ্ছেদ-২৬ (১৬) এর বিধান অনুসরণ না করে ওষুধ আমদানি করায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৬৮ এর ক্ষমতাবলে পণ্য চালানটি আটক করে।
তিনটি পণ্য চালানের আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ লাখ টাকা। এ ধরনের অননুমোদিত ওষুধ আমদানি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব ইনজেকশন গায়ের রং ফর্সা করার জন্য মানবদেহে ইনজেক্ট করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দার নজরদারির ফলে পণ্য চালানটি আটক করা সম্ভব হয়েছে। দি কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এসজে/এএ