ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দামের আগুন নিভছে না চালের বাজারে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
দামের আগুন নিভছে না চালের বাজারে রাজশাহী চালের মার্কেট

রাজশাহী: ‘রাজশাহীর খোলা বাজারে দুদিন হলো ৩০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু যে চাল ৩০ টাকায় দেওয়া হচ্ছে তা কেনার মতো নয়। যে কারণে ঘুরে ফিরে আবারও এসেছি চালের আড়তেই। কিন্তু বিধিবাম কিছুতেই কমেনি চালের দাম। ফলে চাল নিয়ে আমার মতো সাধারণ ও নিম্ন আয়ের ক্রেতার দুর্ভোগ কাটছেনা’।  

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর কাদিরগঞ্জ আড়তে চাল কিনতে এসে ক্ষোভের কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন মহানগরীর সুলতানাবাদ এলাকার শহীদুল ইসলাম।  

দাম কমার অপেক্ষায় ২/৩ দিন থেকে বিভিন্ন আড়ত ঘুরছেন।

কিন্তু দাম আর কমছে বরং বাড়ছে জানালেন শহীদুল ইসলাম।  

শহীদুল ইসলামের মতো রাজশাহীর অধিকাংশ মানুষের প্রায় একই অবস্থা। কমবে কমবে বলে দিন যতো গড়াচ্ছে চালের দাম ততোই বাড়ছে। ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠছে রাজশাহীর চালের বাজার।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে চালের অবৈধ মজুদ ঠেকাতে মাঠে নেমেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময়  মহানগরীর সপুরায় থাকা বিসিক শিল্প এলাকার কয়েকটি রাইস মিলের গুদামে মজুদ করা ধান-চাল পাওয়া গেছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত পাল।

অভিযানে রাজশাহীর বিসিক এলাকার আসলাম রাইস মিলের গুদামে এক হাজার ২শ’ ৮৫ বস্তা ধানের মজুদ পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া হা-মীম এগ্রো ফুড নামের একটি রাইস মিলের আরও কয়েকটি গুদামে চার হাজার ২৯ বস্তা চাল মজুদ পাওয়া গেছে। অভিযানকালে ধরা পড়ে এ দুটি মিলের কোনো লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। কিন্তু এই অভিযানের পরও রাজশাহীর চালের বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরেনি।

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার এলাকার এপি চালের আড়তের চাল বিক্রেতা মিলন প্রসাদ জানান, রাজশাহীতে এক সপ্তাহ আগেও মোটা স্বর্ণা চালের দাম ছিলো প্রতিকেজি ৫০ টাকা। আজ বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা। আঠাশ ৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলো। আজ বিক্রি হয়েছে ৬০টাকা। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছিল ৬০ টাকা। আজ বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৪ টাকা। এছাড়া ৬২ টাকার নাজিরশাইল ৬৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে পোলাওয়ের চাল কালোজিরা ৯০ টাকা ও চিনিগুড়া চাল ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, রাজশাহীতে সোনামসজিদ স্থলবন্দর হয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে চাল। এই চাল রাজশাহীর বাজারে ঢুকলে তিন-চার দিনের মধ্যে চালের দাম কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।  

রাজশাহীর কাদিরগঞ্জ এলাকার চাল ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন বলেন, চাল সংকট নিয়ে শিগগিরই হতাশা কাটতে যাচ্ছে। এতো উদ্বিগ্ন হওয়ারও কিছু নেই। বিপুল পরিমাণ চালের ট্রাক এখন সোনামসজিদ এলাকার স্থলবন্দরে অবস্থান করছে। আশা করছি আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই এই চাল চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে রাজশাহীসহ দেশের অন্যান্য আড়তগুলোতে ঢুকবে। তখন দামও কেজিতে ৩/৪ টাকা কমে যাবে। বাজারে স্থিতিশীলতাও আসবে বলে জানান এই পাইকারি চাল ব্যবসায়ী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এসএস/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad